ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

আবরার হত্যা: অমিত-মিজানের পর এবার তোহা গ্রেপ্তার

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মামলার ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:  আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা আটক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে সকালে আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের আরও তিন শিক্ষার্থী অমিত সাহা ও মিজানুর রহমান মিজান ও আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মিজানুর এবং আরাফাতেরও এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে অমিত, আবরারের সহপাঠী মিজানুর এবং আরাফাতের নাম নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আবরারের সহপাঠী মিজানুরকেও গ্রেফতার করা হয়।আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনায় আসে অমিত সাহার নাম। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন অমিত। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয় আবরারকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

আবরার হত্যা: অমিত-মিজানের পর এবার তোহা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম ০৭:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মামলার ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:  আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা আটক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে সকালে আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের আরও তিন শিক্ষার্থী অমিত সাহা ও মিজানুর রহমান মিজান ও আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মিজানুর এবং আরাফাতেরও এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে অমিত, আবরারের সহপাঠী মিজানুর এবং আরাফাতের নাম নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আবরারের সহপাঠী মিজানুরকেও গ্রেফতার করা হয়।আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনায় আসে অমিত সাহার নাম। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন অমিত। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয় আবরারকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।