ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

আজ ৪ জুন, দ্বিতীয় জাতীয় চা দিবস।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ আজ ৪ জুন দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে জাতীয় চা দিবস। জাতীয় চা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ” চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প “। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় চা দিবসের সমস্ত আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সে কারণেই ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে, এবছর ৪ জুন দ্বিতীয়বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে চা দিবসের আলোচনা সভা শুরু হবে। তবে দুপুর সাড়ে ১২ টায় চা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে দিনব্যাপী চা মেলা। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। সকল শ্রেণির দর্শনার্থীদের জন্য চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনস্থ মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ উপকরণ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। চা বোর্ড জানিয়েছে, জাতীয় চা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে আরও একটি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা উৎপাদিত হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দেশে চা পানের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, দেশে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দেশে চায়ের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে। দেশে ঘরে ঘরে চায়ের ব্যবহার বাড়ছে, সে কারণে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সেভাবে আমরা রফতানি করতে পারছি না। কারণ আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, চায়ের ব্যবহার বেড়েছে। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, চায়ের নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন শুধু দেশের পাহাড়ি অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেটে চা উৎপাদিত হতো, এখন দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদিত হচ্ছে। এতে অন্য ফসল চাষে অনুপযোগী জমিগুলোতে চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে ও দেশে চা শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিপুল পরিমাণ চা রফতানি করতে পারবো।
১৮৪০ সালে দেশে এক ব্যক্তির উদ্যোগে চা উৎপাদন শুরু হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে। চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। ঢাকার পাশাপাশি দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চলের জেলাগুলোতে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও চা মেলার আয়োজন করা

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

আজ ৪ জুন, দ্বিতীয় জাতীয় চা দিবস।

আপডেট টাইম ১২:০০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ আজ ৪ জুন দেশে দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হবে জাতীয় চা দিবস। জাতীয় চা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ” চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প “। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় চা দিবসের সমস্ত আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সে কারণেই ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে, এবছর ৪ জুন দ্বিতীয়বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে চা দিবসের আলোচনা সভা শুরু হবে। তবে দুপুর সাড়ে ১২ টায় চা দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হবে দিনব্যাপী চা মেলা। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। সকল শ্রেণির দর্শনার্থীদের জন্য চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনস্থ মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ উপকরণ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। চা বোর্ড জানিয়েছে, জাতীয় চা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে আরও একটি চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা উৎপাদিত হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। দেশে এখন বৃহৎ চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানের সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দেশে চা পানের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, দেশে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দেশে চায়ের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়েছে। দেশে ঘরে ঘরে চায়ের ব্যবহার বাড়ছে, সে কারণে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও সেভাবে আমরা রফতানি করতে পারছি না। কারণ আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, চায়ের ব্যবহার বেড়েছে। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, চায়ের নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন শুধু দেশের পাহাড়ি অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সিলেটে চা উৎপাদিত হতো, এখন দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদিত হচ্ছে। এতে অন্য ফসল চাষে অনুপযোগী জমিগুলোতে চা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে ও দেশে চা শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিপুল পরিমাণ চা রফতানি করতে পারবো।
১৮৪০ সালে দেশে এক ব্যক্তির উদ্যোগে চা উৎপাদন শুরু হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে। চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। ঢাকার পাশাপাশি দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চলের জেলাগুলোতে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও চা মেলার আয়োজন করা