ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

আজ বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তচিন্তার লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।

১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভাগীয় নেতা ছিলেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে জহিরউদ্দিন বিশ্বাস রাজশাহীতে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে ১৯৪৯ সালে বিএ সম্মান ও ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে ১৯৫৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে বিএ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে ইতিহাসের রিডার (১৯৬২-৬৪) ও আইন বিভাগের ডিন (১৯৬১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। পরে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (১৯৬৯) ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের (১৯৭২) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেরও (১৯৭২) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

তিনি লেখক, বিশ্লেষক, কবি হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। রবীন্দ্রগবেষণায় তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ’। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে_ যথাশব্দ, বাংলাদেশের তারিখ, কোরান সূত্র, বচন ও প্রবচন, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক, কোরান শরীফের সরল বঙ্গানুবাদ, মিত্রাক্ষর অভিধান, নির্বাচন হতে হবে তবে নির্বাচন যথেষ্ট নয় ও আইন কোষ প্রভৃতি। নানা ভাষার অজস্র কবিতা তিনি অনুবাদ করেছেন বাংলায়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

আজ বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট টাইম ০৬:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তচিন্তার লেখক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের এই দিনে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করবে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।

১৯২৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দয়ারামপুর গ্রামে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের জন্ম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার বাবা মৌলভী জহিরউদ্দিন বিশ্বাস জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভাগীয় নেতা ছিলেন। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে জহিরউদ্দিন বিশ্বাস রাজশাহীতে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে ১৯৪৯ সালে বিএ সম্মান ও ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে ১৯৫৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে বিএ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সেখানে ইতিহাসের রিডার (১৯৬২-৬৪) ও আইন বিভাগের ডিন (১৯৬১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আইন ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। পরে সহকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল (১৯৬৯) ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্টের (১৯৭২) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেরও (১৯৭২) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

তিনি লেখক, বিশ্লেষক, কবি হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। রবীন্দ্রগবেষণায় তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ’। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে_ যথাশব্দ, বাংলাদেশের তারিখ, কোরান সূত্র, বচন ও প্রবচন, বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক, কোরান শরীফের সরল বঙ্গানুবাদ, মিত্রাক্ষর অভিধান, নির্বাচন হতে হবে তবে নির্বাচন যথেষ্ট নয় ও আইন কোষ প্রভৃতি। নানা ভাষার অজস্র কবিতা তিনি অনুবাদ করেছেন বাংলায়।