মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:–
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরের পিতৃহীন মর্জিনা খাতুন। গত ১১ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার নওড়াপাড়ার ইউসুফ আলীর পুত্র তারেক আজিজের সাথে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ১৮ই সেপ্টেম্বর হয় ফিরানি। তখনও মর্জিনার হাতে শুকায়নি মেহেদীর রঙ। হঠাৎ করেই বাড়িতে আসে ডিভোর্স লেটার। কি অপরাধ ছিলো অসহায় পিতৃহীন মর্জিনার, সে উত্তর জানা নেই তার। কারণ ছাড়াই স্বামী তারেক আজিজের ডিভোর্স লেটার পেয়ে হতবাক মর্জিনা ও তার পরিবার। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বরের বাড়ি গিয়েও পায়নি কোনো সদাত্তর। শুধু মিলেছে বাড়ির দরজায় তালা। যে ফোন নাম্বারে কথাবার্তার মাধ্যমে হয়েছিলো সমন্ধ, সেই নাম্বারগুলোও এখন বন্ধ। অসহায় মর্জিনার পাশে দাড়ানোর সৎ সাহস দেখায়নি কেউ। তাই ঘুরছেন পথে পথে অসহায়ত্ব নিয়েই। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অসহায় মর্জিনার ক্ষনিকের স্বামী তারেক আজিজ চাকরি করেন বিটিসিতে চুক্তি ভিক্তিক এমএসএম এর আওতায় ক্লার্ক পদে মিরপুর এমএলডি তামাক কোম্পানিতে। তারেক আজিজের সাথে মর্জিনার বিয়ে হয় দেখাশোনার মাধ্যমেই। এমনকি বিয়ের আগে পরিবারের সম্মতিক্রমে ভিডিও কলের মাধ্যমেও একাধিকবার হয় যোগাযোগ। তখন খারাপ লাগেনি মর্জিনাকে তারেকের। কিন্তু হঠাৎ করেই বিবাহের মতো পবিত্র বন্ধনকে ছিন্ন করেছেন এক নিমিষেই। যদিও যৌক্তিক কারন দেখাতে পারেনি তারেক আজিজ ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা কুষ্টিয়ার নির্বাহী পরিচালন মমতাজ আরা বেগম বলেন, বিষয়টি অমানবিক কারণ ছাড়াই এ ধরনের কর্মকান্ডকে সমর্থন করি না। আমরা অবশ্যই অসহায় মেয়েটির পাশে থেকে সব ধরনের আইনী সহায়তা প্রদান করবো।