ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

খালি বোতল, খালি কাপ জমা দিলেই ফেরত পাঁচ টাকা

ফিচার ডেস্কঃ  খালি বোতল, কফির কাপসহ খাদ্যপণ্যের যে কোনও বর্জ্য ফেরত দিলেই ফেরত পাওয়া যায় পাঁচ টাকা। ঘটনাস্থল আর কোথাও নয়, খোদ শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেখানে দেশ ও বিদেশগামী মানুষের জটলা থাকে সারা বছর। হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা থাকে প্রতিদিন। এমন একটি ব্যস্ত স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য প্রশাসনের এমন অভিনব কৌশল।

প্রচন্ড গরম, কোমল পানীয় পান করতে কার না মন চাইবে? কিন্তু এমন সময় সবগুলো সপেই আপনাকে গুণতে হবে পণ্যপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেশি। কোমল পানীয় ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টাকা। কফি পঁচিশ টাকা। এভাবেই প্রতিটি পণ্যের দাম সেখানকার নির্ধারিত দামের থেকেও পাঁচ টাকা করে বেশি লেখা রয়েছে।

তবে নিচে বিঃদ্রঃ দিয়ে লেখা রয়েছে খালি বোতল, খালি কাপ জমা দিলেই পাবেন পাঁচ টাকা ফেরত।

সপ মালিকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, মানুষ নগদে বিশ্বাসী, তাই এ ব্যবস্থা। যখন মানুষ বুঝতে পারে চিপসের প্যাকেটের জন্য অথবা খালি বোতলের জন্যই পাঁচ টাকা করে বেশি রাখা হচ্ছে। তখন তারা আর এই বর্জ্য এখানে সেখানে না ফেলে দোকানের সামনে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে।

সেখানকার এক সিকিউরিটি অফিসার বলেন, প্রতিটি সপের সামনেই লেখা রয়েছে ‘বিমান বন্দরে যে কোনও ধরনের ময়লা-বর্জ্য নির্ধারিত স্থানের বাহিরে ফেললে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু এতো মানুষের ভীড়ে কে কীভাবে ময়লা ফেলে নজরে রাখা কঠিন। তাই প্রতি সপেই এই অভিনব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এয়ারপোর্টে ভাইকে নিতে আসা মাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ভাই কুয়েত থেকে আসবে। সেই সকালে এসে দাড়িয়ে আছে সে। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে। এ সময়ের মধ্যে দোকান থেকে অনেক কিছুই কিনে খায় সে। আর তার খাওয়া সব পণ্যের বর্জ্যই নির্ধারিত স্থানে ফেলে সে।

এতে করে দুটো লাভও নাকি হয়েছে তার। মাহিন জানায়, স্থানটি পরিষ্কার রইলো, অন্যদিকে পাঁচ টাকা ফেরতও পাওয়া গেলো।

মাহিন আশা প্রকাশ করে আরও বলে, আমাদের দেশের আইন যদি এমন কঠিন করা হয় তবে আমাদের দেশ আরও পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

খালি বোতল, খালি কাপ জমা দিলেই ফেরত পাঁচ টাকা

আপডেট টাইম ০১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯

ফিচার ডেস্কঃ  খালি বোতল, কফির কাপসহ খাদ্যপণ্যের যে কোনও বর্জ্য ফেরত দিলেই ফেরত পাওয়া যায় পাঁচ টাকা। ঘটনাস্থল আর কোথাও নয়, খোদ শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেখানে দেশ ও বিদেশগামী মানুষের জটলা থাকে সারা বছর। হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা থাকে প্রতিদিন। এমন একটি ব্যস্ত স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য প্রশাসনের এমন অভিনব কৌশল।

প্রচন্ড গরম, কোমল পানীয় পান করতে কার না মন চাইবে? কিন্তু এমন সময় সবগুলো সপেই আপনাকে গুণতে হবে পণ্যপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেশি। কোমল পানীয় ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টাকা। কফি পঁচিশ টাকা। এভাবেই প্রতিটি পণ্যের দাম সেখানকার নির্ধারিত দামের থেকেও পাঁচ টাকা করে বেশি লেখা রয়েছে।

তবে নিচে বিঃদ্রঃ দিয়ে লেখা রয়েছে খালি বোতল, খালি কাপ জমা দিলেই পাবেন পাঁচ টাকা ফেরত।

সপ মালিকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, মানুষ নগদে বিশ্বাসী, তাই এ ব্যবস্থা। যখন মানুষ বুঝতে পারে চিপসের প্যাকেটের জন্য অথবা খালি বোতলের জন্যই পাঁচ টাকা করে বেশি রাখা হচ্ছে। তখন তারা আর এই বর্জ্য এখানে সেখানে না ফেলে দোকানের সামনে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে।

সেখানকার এক সিকিউরিটি অফিসার বলেন, প্রতিটি সপের সামনেই লেখা রয়েছে ‘বিমান বন্দরে যে কোনও ধরনের ময়লা-বর্জ্য নির্ধারিত স্থানের বাহিরে ফেললে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু এতো মানুষের ভীড়ে কে কীভাবে ময়লা ফেলে নজরে রাখা কঠিন। তাই প্রতি সপেই এই অভিনব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এয়ারপোর্টে ভাইকে নিতে আসা মাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ভাই কুয়েত থেকে আসবে। সেই সকালে এসে দাড়িয়ে আছে সে। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে। এ সময়ের মধ্যে দোকান থেকে অনেক কিছুই কিনে খায় সে। আর তার খাওয়া সব পণ্যের বর্জ্যই নির্ধারিত স্থানে ফেলে সে।

এতে করে দুটো লাভও নাকি হয়েছে তার। মাহিন জানায়, স্থানটি পরিষ্কার রইলো, অন্যদিকে পাঁচ টাকা ফেরতও পাওয়া গেলো।

মাহিন আশা প্রকাশ করে আরও বলে, আমাদের দেশের আইন যদি এমন কঠিন করা হয় তবে আমাদের দেশ আরও পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।