চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ভাঙনে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসল জমি ও স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি, নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুইটি বেগম বলেন, কয়েকদিন আগেই আমার বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে। তাই পদ্মা থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি।
‘আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে’
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গণি বলেন, আমার বাড়িও পদ্মায় ভেঙে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুইটি বেগম।
আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ওই ইউনিয়নের আলাতুলি ও কোদালকাটি এলাকায় ভাঙনে প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ওই দুটি গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন এবং ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেকেই হুমকির মধ্যে রয়েছেন।
‘আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে’
এদিকে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, নারায়ণপুর ইউনিয়নের চটকাপাড়া, ঘোষপাড়া, সরদারপাড়া, খলিফাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামজুড়ে চলছে ভাঙনের খেলা। এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পাকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে চলতি বন্যা মৌসুমে ১৫০টি ঘরবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও বহু গাছপালা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরি হলেই জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় পাঠানো হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, জেলার মহানন্দা, পুনর্ভবা, পদ্মানদীসহ সব নদীর পানি কমছে। আশা করা যায় কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুইটি বেগম বলেন, কয়েকদিন আগেই আমার বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে। তাই পদ্মা থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি।
‘আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে’
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গণি বলেন, আমার বাড়িও পদ্মায় ভেঙে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুইটি বেগম।
আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ওই ইউনিয়নের আলাতুলি ও কোদালকাটি এলাকায় ভাঙনে প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ওই দুটি গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন এবং ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেকেই হুমকির মধ্যে রয়েছেন।
‘আমার বসবাসের শেষ ঠিকানা এখন নদীগর্ভে’
এদিকে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, নারায়ণপুর ইউনিয়নের চটকাপাড়া, ঘোষপাড়া, সরদারপাড়া, খলিফাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামজুড়ে চলছে ভাঙনের খেলা। এখন পর্যন্ত ২ শতাধিক ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পাকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে চলতি বন্যা মৌসুমে ১৫০টি ঘরবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও বহু গাছপালা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরি হলেই জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় পাঠানো হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, জেলার মহানন্দা, পুনর্ভবা, পদ্মানদীসহ সব নদীর পানি কমছে। আশা করা যায় কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।