‘৩৬ জুলাই! ২০২৪’ এরপর একটা বই পড়তে শুরু করেছি। বইটা এখনো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, নাম ‘আমার ফাঁসী চাই’। লেখক মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন, তাকে স্বস্ত্রীক বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি ও তার স্ত্রী এই বইটি লেখার সংকল্প গ্রহণ করেন। হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি বইটা প্রকাশ করবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন।
পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কারো বিপদের সময় তাকে হেয় না করে, তার ক্ষমতার দাপটের সময়ই তিনি তার মুখোশ উন্মোচন করবেন। সেই মোতাবেক নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ও তার স্ত্রী বইটি লেখেন ও ১৯৯৯ সালে প্রকাশ করেন। স্বাভাবিকভাবেই বইটি তৎকালীন সরকারি আদেশে নিষিদ্ধ হয়। বইটি পড়া শেষ করে একটা রিভিউ লিখব আশা করি। তবে এই মুহূর্তে (যখন ভারতে শেখ হাসিনা লুকিয়ে আছেন এবং যুগপৎ বাংলাদেশের ও ভারতের পূর্বাঞ্চলে বন্যা চলছে) একটা অনুভূতি লিখে রাখতে চাই।
আমার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে যেহেতু বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগের প্রতি প্রবল আনুগত্য দেখে, শুনে ও মেনে আমি বড় হয়েছি, তাই আমাকে যারা চেনেন, তারা এই লেখা পড়ে অবাক হতে পারেন। লেখার শিরোনাম, ‘ভারত আমার কেমন বন্ধু?’, এতে আমার পরিচিতজনেরা অবাক হতে পারেন। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এর আগেও (২০১২ সালে) ফেসবুকে আমি একটা কবিতা লিখে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম, যার শুরুর ৩ লাইন ছিল এমন:
‘হে ভারতমাতা, তুমি মহান,
তুমি যখন তখন পানি ছেড়ে
ডুবাও মোদের প্রাণ...’
কবিতা পড়ার প্রহর এটা নয়। ফিরে আসি বর্তমানে। আমাদের বর্তমান নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার ভারত-বিদ্বেষী কি না তা বলার সময় এখনো আসেনি, তবে আওয়ামী সরকারের মতো ভারতের আজ্ঞাদাস যে নন, তা নিশ্চিত বলা যায়। প্রশ্ন হলো, ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু কেমন বন্ধু? আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা আমাদের প্রথমে আশ্রয়, তারপর প্রশিক্ষণ, তারপর অস্ত্র, তারপর সরাসরি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে সাহায্য করেছেন। এমন কি, মহান বিজয় দিবস-এ পাকবাহিনীর সেই ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের ছবিতে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে চুক্তি স্বাক্ষর করতে দেখি। তাহলে ভারত আমাদের খুব ভালো বন্ধু, তাই নয় কি?
‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখক বলতে চেয়েছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলাদেশের সূচনা করতে গিয়েও করেননি। বরং তার দেওয়া আল্টিমেটাম পেয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দফায় দফায় সেনাবাহিনী পাঠিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে কঠোরভাবে দমনের প্রস্তুতি নেবার সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার আল্টিমেটামে কোনো সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় পেয়েছে এবং সেই রাতে অতর্কিতে গণহত্যা চালিয়েছে।
পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কারো বিপদের সময় তাকে হেয় না করে, তার ক্ষমতার দাপটের সময়ই তিনি তার মুখোশ উন্মোচন করবেন। সেই মোতাবেক নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ও তার স্ত্রী বইটি লেখেন ও ১৯৯৯ সালে প্রকাশ করেন। স্বাভাবিকভাবেই বইটি তৎকালীন সরকারি আদেশে নিষিদ্ধ হয়। বইটি পড়া শেষ করে একটা রিভিউ লিখব আশা করি। তবে এই মুহূর্তে (যখন ভারতে শেখ হাসিনা লুকিয়ে আছেন এবং যুগপৎ বাংলাদেশের ও ভারতের পূর্বাঞ্চলে বন্যা চলছে) একটা অনুভূতি লিখে রাখতে চাই।
আমার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে যেহেতু বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগের প্রতি প্রবল আনুগত্য দেখে, শুনে ও মেনে আমি বড় হয়েছি, তাই আমাকে যারা চেনেন, তারা এই লেখা পড়ে অবাক হতে পারেন। লেখার শিরোনাম, ‘ভারত আমার কেমন বন্ধু?’, এতে আমার পরিচিতজনেরা অবাক হতে পারেন। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এর আগেও (২০১২ সালে) ফেসবুকে আমি একটা কবিতা লিখে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম, যার শুরুর ৩ লাইন ছিল এমন:
‘হে ভারতমাতা, তুমি মহান,
তুমি যখন তখন পানি ছেড়ে
ডুবাও মোদের প্রাণ...’
কবিতা পড়ার প্রহর এটা নয়। ফিরে আসি বর্তমানে। আমাদের বর্তমান নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার ভারত-বিদ্বেষী কি না তা বলার সময় এখনো আসেনি, তবে আওয়ামী সরকারের মতো ভারতের আজ্ঞাদাস যে নন, তা নিশ্চিত বলা যায়। প্রশ্ন হলো, ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু কেমন বন্ধু? আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তারা আমাদের প্রথমে আশ্রয়, তারপর প্রশিক্ষণ, তারপর অস্ত্র, তারপর সরাসরি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে সাহায্য করেছেন। এমন কি, মহান বিজয় দিবস-এ পাকবাহিনীর সেই ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের ছবিতে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে চুক্তি স্বাক্ষর করতে দেখি। তাহলে ভারত আমাদের খুব ভালো বন্ধু, তাই নয় কি?
‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখক বলতে চেয়েছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলাদেশের সূচনা করতে গিয়েও করেননি। বরং তার দেওয়া আল্টিমেটাম পেয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দফায় দফায় সেনাবাহিনী পাঠিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে কঠোরভাবে দমনের প্রস্তুতি নেবার সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু তার আল্টিমেটামে কোনো সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় পেয়েছে এবং সেই রাতে অতর্কিতে গণহত্যা চালিয়েছে।