অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণকে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণকে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা বলেছেন।’
তিনি জানান, দশ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসেবে ৩৬ লাখ মানুষ বন্যা-কবলিত হয়েছে। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে উপদেষ্টাগণ এই জেলাগুলো পরির্দশন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরকে উদ্বৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘসময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বন্যার অন্যতম কারণ হলো নদ-নদী ও খালবিল শুকিয়ে যাওয়া।
প্রেস সচিব বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন যে কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কী করা যায়। এখন পর্যন্ত দুইজন মারা গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখনও আমাদের কাছে মিসিংয়ের কোনো ফিগার নাই।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটার ব্যাপারে সরকারের কী করণীয় এবং এ বন্যা পরিস্থিতিতে যারা ভুক্তভোগী তাদের জন্য কী করব এবং সরকারের মধ্যে কী করে সমন্বয় করব, একই সাথে এ বন্যার কারণ কী, ভবিষ্যতে এ রকম বন্যা বলা হচ্ছে ফেনীতে নজিরবিহীন সেটা এড়িয়ে চলতে আমরা কী করতে পারি- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্যা উপদ্রুত সবকটি জেলাতেই উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরা যাবেন। ইতোমধ্যে ত্রাণ উপদেষ্টা আজকেই যাচ্ছেন ফেনীতে। ঠিক দুর্যোগ আক্রান্ত জায়গায় এখনও পৌঁছানো যাচ্ছে না। যত নিকটে সম্ভব তত নিকটে পৌঁছে ত্রাণ কাজে সমন্বয় করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্যা উপদ্রুত মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা না হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এটার পুনর্বাসনের পূর্ণ ব্যবস্থা না হবে-ততক্ষণ পর্যন্ত এটা নজরদারিতে থাকবে।
আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে একটা ফাউন্ডেশন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর প্রধান থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা। সদস্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণকে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা বলেছেন।’
তিনি জানান, দশ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসেবে ৩৬ লাখ মানুষ বন্যা-কবলিত হয়েছে। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে উপদেষ্টাগণ এই জেলাগুলো পরির্দশন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরকে উদ্বৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘসময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বন্যার অন্যতম কারণ হলো নদ-নদী ও খালবিল শুকিয়ে যাওয়া।
প্রেস সচিব বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন যে কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কী করা যায়। এখন পর্যন্ত দুইজন মারা গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখনও আমাদের কাছে মিসিংয়ের কোনো ফিগার নাই।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটার ব্যাপারে সরকারের কী করণীয় এবং এ বন্যা পরিস্থিতিতে যারা ভুক্তভোগী তাদের জন্য কী করব এবং সরকারের মধ্যে কী করে সমন্বয় করব, একই সাথে এ বন্যার কারণ কী, ভবিষ্যতে এ রকম বন্যা বলা হচ্ছে ফেনীতে নজিরবিহীন সেটা এড়িয়ে চলতে আমরা কী করতে পারি- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্যা উপদ্রুত সবকটি জেলাতেই উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরা যাবেন। ইতোমধ্যে ত্রাণ উপদেষ্টা আজকেই যাচ্ছেন ফেনীতে। ঠিক দুর্যোগ আক্রান্ত জায়গায় এখনও পৌঁছানো যাচ্ছে না। যত নিকটে সম্ভব তত নিকটে পৌঁছে ত্রাণ কাজে সমন্বয় করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্যা উপদ্রুত মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা না হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এটার পুনর্বাসনের পূর্ণ ব্যবস্থা না হবে-ততক্ষণ পর্যন্ত এটা নজরদারিতে থাকবে।
আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে একটা ফাউন্ডেশন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর প্রধান থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা। সদস্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।