
মাতৃভূমির খবর ● নাটোর ● ১ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, "৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান না হলে দেশে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না, সভা-সমাবেশ করতেও পারতাম না।"
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর কলেজ মাঠে স্থানীয় বিএনপির আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি ছিল ‘জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের’ স্মরণে আয়োজিত।
দুলু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্ন মত পোষণ করলেই মানুষকে গ্রেপ্তার করা হতো। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এখন দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও মত প্রকাশ করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্ট চিরস্মরণীয় একটি দিন। জাতির ইতিহাসে এই দিনটি গণঅভ্যুত্থানের মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করা হবে।"
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, "অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।" তিনি বলেন, “ভারতকে যা দিয়েছেন তা সারা জীবন ভুলতে পারবে না—এ কথার মধ্যেই শেখ হাসিনার দেশবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট।”
দুলু দাবি করেন, “ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করবেন।”
তিনি বলেন, “দেশের মাটিতে আর কখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব ফ্যাসিস্টবিরোধী রাজনৈতিক দলকে অন্তত একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—তা হলো শেখ হাসিনার অপশাসনের বিরুদ্ধাচরণ।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সব বিভাগকে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই অপশক্তি ক্ষমতায় থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গেছে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মোজাহার হোসেন। আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান ওরফে বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা যুবদল সভাপতি এ. হাই তালুকদার ডালিম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন ও শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বুলবুল।