
নির্বাচনে শাপলা প্রতীক হিসেবে কেউ পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টা আমরা খুব সিরিয়াসলি বিবেচনা করেছি আমাদের কমিশনে। আমাদের কমিশনের একটা সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস (ঐকমত্য) ছাড়া নেই না। মেজরিটির মতামত নিয়েই করে থাকি। কারো ওপর চাপিয়ে দেই না কোনো কিছু। পাঁচজন মিলেই এই কমিশন।’
তিনি বলেন, আগে মাহবুব তালুকদার সাহেব একদিকে কথা বলতেন, বাকিরা অন্যদিকে বলতেন। আমাদের এখানে শুনেছেন আমরা দলাদলি করেছি কখনো? এই শাপলা নিয়েও আমরা অনেক ইনভেস্টিগেট করেছি, বিষয়টা এক্সামিন করেছি। কিছু আইনি বিষয় আছে এখানে। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে একটা আইনই আছে।
সিইসি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আছে এখানে এনসিপি চেয়েছে, এর আগে নাগরিক ঐক্যও চেয়েছিল। নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল, আট দশদিন আগে নাগরিক ঐক্যের একটা প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাদের মেইন ফোকাস হলো শাপলা। তারা বলেছে আমরা শাপলা চেয়েছি আপনারা দেন নাই। আমরা ওদের আবেদন পেন্ডিং রেখেছি। উনারা বললেন যে দেখেন আমরা কিন্তু অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করেছি, এনসিপি করেছে পরে। আমি একটা রেজিস্টার্ড দল। এনসিপি রেজিস্ট্রেশনই পায়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী যারা আগে ক্লেম করবে তাদের দিতে হয়, সুতরাং সুযোগটা সীমিত ‘
তাহলে শাপলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ওই যে বললাম তো, যদি দিতে হয় তাহলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে।’
তবে শাপলা প্রতীক যারা আগে চেয়েছে তারা পাবে নাকি এই প্রতীক কাউকে দেওয়া হবে না এমন প্রশ্নে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখবো না।
তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীক কেউ পাচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত তাই-ই।’
এছাড়া বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচন বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন, সেটার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নট বি প্রবলেম।
বলেন, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন ‘চ্যালেঞ্জিং হবে। বাট ইট ইজ পসিবল। চ্যালেঞ্জিং, কারণ এখন তো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অগাস্টে যা দেখছিলাম বা গত বছরের আটই অগাস্টে যা দেখছিলাম অনেক ইম্প্রুভ করে গেছে না? অনেক ইম্প্রুভ করছে।
কিছু রাজনৈতিক দল বলছে যে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখন নেই এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘অ্যাকচুয়ালি রাজনীতিবিদদের বক্তব্যের বিষয়ে আমরা গাইডেড না। রাজনীতিকরা নানা ধরনের কথাবার্তা বলে। কোনো কোনো দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলে, পরে আবার ব্যাক ট্র্যাক করে বলছে যে সংস্কারের আগে ভোট হতে পারবে না। নানা ধরনের কথা বলে। এইটা হলো রাজনৈতিক বক্তব্য।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যখন হবে, তখন ওই সময়ের মধ্যে সব কিছু শান্ত থাকবে, অসুবিধা হবে না। বিশেষ করে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল ছোট হোক বড় হোক, তারা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে প্রথম থেকেই। কেউ বলে নাই যে আমি আগের মতো নির্বাচন চাই। জনগণ যদি আপনার সাথে থাকে, কোনো রকমের কোনো মব বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপনাকে তো ক্ষতি করতে পারবে না।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি কনফিডেন্ট যে ইলেকশন যখন হবে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্রিফিং দিয়েছেন। শুধু পুলিশকে নয়, উনি তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্মি থেকে আরম্ভ করে, আর্মি কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, বিজিবি কীভাবে হবে ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন করেছেন। এই চ্যালেঞ্জেসগুলো সামনে রেখে কিন্তু সরকারের যেমন তার নিজস্ব প্রস্তুতি চলছে, আমাদেরও কিন্তু একই রকম প্রস্তুতি চলছে। এই সব চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু আমাদের মাথায়ও আছে। এগুলো অ্যাড্রেস করার জন্য আমরা প্রস্তুত। সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নেবো।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি হয় আমাদের তরফ থেকে আমরা প্রস্তুত। আমরা ওভাবে করতে চাই, উনারা যে তারিখে পোলিং ডেট চান, যেদিন ভোট হয়, সেদিন যাতে আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দিতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রস্তুতিটা নিচ্ছি।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টা আমরা খুব সিরিয়াসলি বিবেচনা করেছি আমাদের কমিশনে। আমাদের কমিশনের একটা সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস (ঐকমত্য) ছাড়া নেই না। মেজরিটির মতামত নিয়েই করে থাকি। কারো ওপর চাপিয়ে দেই না কোনো কিছু। পাঁচজন মিলেই এই কমিশন।’
তিনি বলেন, আগে মাহবুব তালুকদার সাহেব একদিকে কথা বলতেন, বাকিরা অন্যদিকে বলতেন। আমাদের এখানে শুনেছেন আমরা দলাদলি করেছি কখনো? এই শাপলা নিয়েও আমরা অনেক ইনভেস্টিগেট করেছি, বিষয়টা এক্সামিন করেছি। কিছু আইনি বিষয় আছে এখানে। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে একটা আইনই আছে।
সিইসি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আছে এখানে এনসিপি চেয়েছে, এর আগে নাগরিক ঐক্যও চেয়েছিল। নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল, আট দশদিন আগে নাগরিক ঐক্যের একটা প্রতিনিধি দল এসেছিল। তাদের মেইন ফোকাস হলো শাপলা। তারা বলেছে আমরা শাপলা চেয়েছি আপনারা দেন নাই। আমরা ওদের আবেদন পেন্ডিং রেখেছি। উনারা বললেন যে দেখেন আমরা কিন্তু অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করেছি, এনসিপি করেছে পরে। আমি একটা রেজিস্টার্ড দল। এনসিপি রেজিস্ট্রেশনই পায়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী যারা আগে ক্লেম করবে তাদের দিতে হয়, সুতরাং সুযোগটা সীমিত ‘
তাহলে শাপলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ওই যে বললাম তো, যদি দিতে হয় তাহলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে।’
তবে শাপলা প্রতীক যারা আগে চেয়েছে তারা পাবে নাকি এই প্রতীক কাউকে দেওয়া হবে না এমন প্রশ্নে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখবো না।
তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীক কেউ পাচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত তাই-ই।’
এছাড়া বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচন বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন, সেটার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নট বি প্রবলেম।
বলেন, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন ‘চ্যালেঞ্জিং হবে। বাট ইট ইজ পসিবল। চ্যালেঞ্জিং, কারণ এখন তো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অগাস্টে যা দেখছিলাম বা গত বছরের আটই অগাস্টে যা দেখছিলাম অনেক ইম্প্রুভ করে গেছে না? অনেক ইম্প্রুভ করছে।
কিছু রাজনৈতিক দল বলছে যে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখন নেই এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘অ্যাকচুয়ালি রাজনীতিবিদদের বক্তব্যের বিষয়ে আমরা গাইডেড না। রাজনীতিকরা নানা ধরনের কথাবার্তা বলে। কোনো কোনো দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলে, পরে আবার ব্যাক ট্র্যাক করে বলছে যে সংস্কারের আগে ভোট হতে পারবে না। নানা ধরনের কথা বলে। এইটা হলো রাজনৈতিক বক্তব্য।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যখন হবে, তখন ওই সময়ের মধ্যে সব কিছু শান্ত থাকবে, অসুবিধা হবে না। বিশেষ করে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল ছোট হোক বড় হোক, তারা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে প্রথম থেকেই। কেউ বলে নাই যে আমি আগের মতো নির্বাচন চাই। জনগণ যদি আপনার সাথে থাকে, কোনো রকমের কোনো মব বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপনাকে তো ক্ষতি করতে পারবে না।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি কনফিডেন্ট যে ইলেকশন যখন হবে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্রিফিং দিয়েছেন। শুধু পুলিশকে নয়, উনি তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্মি থেকে আরম্ভ করে, আর্মি কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, বিজিবি কীভাবে হবে ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন করেছেন। এই চ্যালেঞ্জেসগুলো সামনে রেখে কিন্তু সরকারের যেমন তার নিজস্ব প্রস্তুতি চলছে, আমাদেরও কিন্তু একই রকম প্রস্তুতি চলছে। এই সব চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু আমাদের মাথায়ও আছে। এগুলো অ্যাড্রেস করার জন্য আমরা প্রস্তুত। সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নেবো।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি হয় আমাদের তরফ থেকে আমরা প্রস্তুত। আমরা ওভাবে করতে চাই, উনারা যে তারিখে পোলিং ডেট চান, যেদিন ভোট হয়, সেদিন যাতে আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দিতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রস্তুতিটা নিচ্ছি।’