
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী রোজার আগে হতে পারে। আসন্ন নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা আসন্ন নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রস্তুতির মধ্যে অনেক বিষয় আছে। ভোটের আগে যেকোনো ধরনের ভায়োলেন্সকে যেন প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেটি নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। রদবদলটা কীভাবে করা হবে, এটি একটি র্যান্ডম ওয়েতে করবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে ডেপ্লয়েড হবে এটি একটি ইস্যু, কোথায় কোথায় ডেপ্লয়েড হবে, আপনারা জানেন যে বর্ডার (সীমান্ত) এরিয়াতে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, সারা দেশের বিভিন্ন রকম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবেন, স্ট্রাইক ফোর্স হিসেবে কীভাবে থাকবেন, সেগুলো নিয়ে আজকের এই মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেস সচিব বলেন, অনেকে আবার নতুন ভোট দেবেন। শেখ হাসিনা আমলের তিন নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সিদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা করা এবং তাদের জন্য নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এটি অবশ্যই লজিস্টিক্যাল একটা বিষয়, সেটি যাতে তারা খতিয়ে দেখেন, এটি কীভাবে এনশিওর করা যায় তা দেখতে বলেছেন। আনুমানিক ৪৭ হাজার ভোটিং কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায় সেই নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখার জন্য এবং প্রতিটি কেন্দ্র যাতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসে, সেটির একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার মনিটরিংটা যেন ঠিকমতো হয়, সেটির জন্য প্রশিক্ষণ এবং তা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে আজকের নির্দেশনা এসেছে। আগে নির্বাচনের সময় চার দিন পুলিশ বা সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন থাকত। এবার বলা হয়েছে, এটি কীভাবে সাত দিনের জন্য ডেপ্লয়মেন্ট করা যায়, যাতে ভোটের আগে যেকোনো ধরনের ভায়োলেন্স প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রস্তুতির মধ্যে অনেক বিষয় আছে। ভোটের আগে যেকোনো ধরনের ভায়োলেন্সকে যেন প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে সেটি নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, ইউএনওদের রদবদল করার কথা বলা হয়েছে। রদবদলটা কীভাবে করা হবে, এটি একটি র্যান্ডম ওয়েতে করবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে ডেপ্লয়েড হবে এটি একটি ইস্যু, কোথায় কোথায় ডেপ্লয়েড হবে, আপনারা জানেন যে বর্ডার (সীমান্ত) এরিয়াতে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, সারা দেশের বিভিন্ন রকম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, কতজন আনসার থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবেন, স্ট্রাইক ফোর্স হিসেবে কীভাবে থাকবেন, সেগুলো নিয়ে আজকের এই মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেস সচিব বলেন, অনেকে আবার নতুন ভোট দেবেন। শেখ হাসিনা আমলের তিন নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। ১৮ থেকে ৩২ বছর বয়সিদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা করা এবং তাদের জন্য নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এটি অবশ্যই লজিস্টিক্যাল একটা বিষয়, সেটি যাতে তারা খতিয়ে দেখেন, এটি কীভাবে এনশিওর করা যায় তা দেখতে বলেছেন। আনুমানিক ৪৭ হাজার ভোটিং কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায় সেই নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। পুলিশের বডি ক্যামেরা রাখার জন্য এবং প্রতিটি কেন্দ্র যাতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসে, সেটির একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার মনিটরিংটা যেন ঠিকমতো হয়, সেটির জন্য প্রশিক্ষণ এবং তা নিয়ে কাজ করতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেক সময় এই ভোট বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের অভাব থাকে। তাদের কীভাবে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে আজকের নির্দেশনা এসেছে। আগে নির্বাচনের সময় চার দিন পুলিশ বা সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন থাকত। এবার বলা হয়েছে, এটি কীভাবে সাত দিনের জন্য ডেপ্লয়মেন্ট করা যায়, যাতে ভোটের আগে যেকোনো ধরনের ভায়োলেন্স প্রতিহত করা যায় এবং ভোটের পরেও যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।