
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ১১৮ নং শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় শিক্ষার্থীদের ছাতা মাথায় নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান।
জানা গেছে, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপজেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের ভবনটি ১৯৭১ সালের আগেই নির্মিত হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় এখন পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামোয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, “গতকাল ক্লাস চলাকালে হঠাৎ ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। আমরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। এখন বর্ষাকালে প্রতিদিন ক্লাসরুমে পানি পড়ে, ফলে ছাতা মাথায় বসেই ক্লাস করতে হয়।”
প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, “আমি নিজেও এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে নির্মিত এই ভবনের ছাদ থেকে প্রতিদিনই খসে পড়ছে খণ্ড খণ্ড অংশ। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। অনেকে ছাতা নিয়ে বসে, আবার কেউ কোণায় গিয়েও ক্লাস করে।”
অভিভাবকরাও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, “এমন পরিবেশে আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে কীভাবে? আমরা আশঙ্কায় থাকি, কখন না জানি বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
বিদ্যালয়টির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।
জানা গেছে, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপজেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের ভবনটি ১৯৭১ সালের আগেই নির্মিত হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় এখন পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামোয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, “গতকাল ক্লাস চলাকালে হঠাৎ ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। আমরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। এখন বর্ষাকালে প্রতিদিন ক্লাসরুমে পানি পড়ে, ফলে ছাতা মাথায় বসেই ক্লাস করতে হয়।”
প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, “আমি নিজেও এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে নির্মিত এই ভবনের ছাদ থেকে প্রতিদিনই খসে পড়ছে খণ্ড খণ্ড অংশ। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। অনেকে ছাতা নিয়ে বসে, আবার কেউ কোণায় গিয়েও ক্লাস করে।”
অভিভাবকরাও চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, “এমন পরিবেশে আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে কীভাবে? আমরা আশঙ্কায় থাকি, কখন না জানি বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
বিদ্যালয়টির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।