
দেশ বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার (৫ জুলাই) থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, ‘অর্থের অভাবে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন।’ তার চিকিৎসার জন্য কেউ কেউ চাঁদা তুলছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে ফেসবুকে।
চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে সম্প্রতি বাসায় ফিরেছিলেন তিনি। হঠাৎ আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকদিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আম্মার (ফরিদা পারভীন) চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আম্মা অত্যন্ত সম্মানের সাথে সকল প্রকার অনুদান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি চান সরকারি এই সকল অনুদান আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল মানুষের কাজে আসুক। যে সকল পেজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফরিদা পারভীনের নামে যত্রতত্র অনুদান চেয়ে বেড়াচ্ছে তারা কি বোঝে না এটা তার জন্য কতটা অসম্মানজনক?’
এ বিষয়ে ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিমের সঙ্গে সোমবার (৭ জুলাই) সকালে যোগাযোগ করা হয়। ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তার (ফরিদা পারভীনের) চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা আমিও শুনছি। অর্থের অভাবে আমরা চিকিৎসা করাতে পারছি না বিষয়টি এমন নয়। তার প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। এ জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি। আমরা সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত সহায়তা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, বিদেশে তার চিকিৎসা করানো হোক। এ ব্যাপারে আমি সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি। সরকারই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক। কারণ তিনি (ফরিদা পারভীন) দেশের জাতীয় সম্পদ। তাই সরকারকেই তার উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে’।
বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ফরিদা পারভীনের। বিষয়টি জানিয়ে শিল্পীর স্বামী আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তার কী কী সমস্যা দেখা দিয়েছে তা শনাক্ত করা হোক। বলা হচ্ছে তার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। তা ঠিক, তবে তা শুধু ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে। আমার চাওয়া দেশের অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডটি গঠন করা হোক।’
জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে আইসিইউতে নেন। সে সময় ফরিদা পারভীনের স্বামী গাজী আবদুল হাকিম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘ক্রমেই ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তারপরও তিনি ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে দুয়েকদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, শিল্পীর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যাও রয়েছে তার। তিনি একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। চিকিৎসকেরা তাকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দিয়েছেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার (৫ জুলাই) থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, ‘অর্থের অভাবে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন।’ তার চিকিৎসার জন্য কেউ কেউ চাঁদা তুলছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে ফেসবুকে।
চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে সম্প্রতি বাসায় ফিরেছিলেন তিনি। হঠাৎ আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকদিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আম্মার (ফরিদা পারভীন) চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আম্মা অত্যন্ত সম্মানের সাথে সকল প্রকার অনুদান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি চান সরকারি এই সকল অনুদান আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল মানুষের কাজে আসুক। যে সকল পেজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফরিদা পারভীনের নামে যত্রতত্র অনুদান চেয়ে বেড়াচ্ছে তারা কি বোঝে না এটা তার জন্য কতটা অসম্মানজনক?’
এ বিষয়ে ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিমের সঙ্গে সোমবার (৭ জুলাই) সকালে যোগাযোগ করা হয়। ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তার (ফরিদা পারভীনের) চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা আমিও শুনছি। অর্থের অভাবে আমরা চিকিৎসা করাতে পারছি না বিষয়টি এমন নয়। তার প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। এ জন্য বিদেশে নেওয়া জরুরি। আমরা সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত সহায়তা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলার চেষ্টা করছি, বিদেশে তার চিকিৎসা করানো হোক। এ ব্যাপারে আমি সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি। সরকারই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক। কারণ তিনি (ফরিদা পারভীন) দেশের জাতীয় সম্পদ। তাই সরকারকেই তার উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে’।
বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ফরিদা পারভীনের। বিষয়টি জানিয়ে শিল্পীর স্বামী আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তার কী কী সমস্যা দেখা দিয়েছে তা শনাক্ত করা হোক। বলা হচ্ছে তার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। তা ঠিক, তবে তা শুধু ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে। আমার চাওয়া দেশের অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডটি গঠন করা হোক।’
জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে আইসিইউতে নেন। সে সময় ফরিদা পারভীনের স্বামী গাজী আবদুল হাকিম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘ক্রমেই ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তারপরও তিনি ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে দুয়েকদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, শিল্পীর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যাও রয়েছে তার। তিনি একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। চিকিৎসকেরা তাকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দিয়েছেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী।