
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, দেশে মবের কোনো বিচার হচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না এবং কোনো প্রতিবাদকে গ্রহণ পর্যন্ত করা হচ্ছে না। এই মব কালচার মারাত্মক ক্যান্সারের মত আমাদের সমাজের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। এর হাত থেকে মুক্তির উপায় কি? এটা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন।
কিন্তু যার কাছ থেকে আমরা মুক্তিটা সবচেয়ে বেশি আশা করি, প্রতিকারটা যার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আশা করি- সেটা হলো সরকারের কাছ থেকে। যে সরকার এই মবটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে এবং আমরা লক্ষ্য করছি সরকার, এটাকে এক ধরনের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
রবিবার (৬ জুলাই) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এমনটা কেন মনে হলো- এ ব্যাপারে মাসুদ কামাল বলেন, জুন মাসের ১৬ তারিখে প্রথম মব নিয়ে একটা আলোচনা করলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বললেন যে আমি এটাকে মব বলব না, এটা হলো প্রেশার গ্রুপ। মানে, যারা এ কাজটা করছে, তারা মব করছে না, তারা প্রেশার দিচ্ছে। কোনো একটা জিনিস পাওয়ার জন্য অথবা কোনো একটা অধিকার আদায়ের জন্য অথবা কোনো একটা অন্যায় হচ্ছে, সে অন্যায়কে প্রতিরোধ করার জন্য তারা প্রেশার দিচ্ছে। তারা কার উপর প্রেশার দিচ্ছে? সরকারের উপর প্রেশার দিচ্ছে, অথবা কোন একটা প্রতিষ্ঠানের উপর প্রেশার দিচ্ছে।
পটিয়ায় যে ঘটনাটা ঘটল, একটা ছেলেকে গ্রেফতার করার জন্য প্রেশার দিল- কেউ কি পারে একজন লোককে গ্রেপ্তার করতে হবে, এজন্য আপনাকে প্রেশার দিতে? একই জিনিস আমরা ধানমন্ডিতে দেখেছি। আমরা এসবকে মব বলছি। শফিকুল আলম বলছেন যে, না এটা মব না, এটা হলো প্রেশার গ্রুপ। এটা কি আসলে প্রেশার গ্রুপ? না কি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য একদল মোটিভেটেড লোকের একটা অন্যায় প্রচেষ্টা?
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ ৫ জুলাই বলেছেন, মব একটি আওয়ামী ন্যারেটিভ। মব শব্দটাকে উনি বলেছেন আওয়ামী ন্যারেটিভ।
কখনো কখনো প্রতিবাদকে মব বলা হচ্ছে আবার কখনো কখনো ছোটখাট সংঘাতকেও মব বলা হচ্ছে। সবকিছুকে এভাবে মব বলা ব্যক্তিদের অধিকাংশ সফট আওয়ামী লীগার।
তিনি বলেন, এসব অভিধার কারণে পরবর্তী সময়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করারই সাহস পাবে না, আগ্রহ অনুভব করবে না। একটা অঘটন ঘটছে, একটা অন্যায় হচ্ছে, সেটা নিয়ে একটা প্রতিবাদ করতে তখন ভাববে, এই বুঝি আমাকে সফট আওয়ামী লীগের অথবা হার্ডকোর আওয়ামী লীগের এই অভিধায় অভিযোগ করে আমাকে কর্নার করে দেওয়া হবে। কাজেই ওই লাইনে কিন্তু কেউ যাবে না।
এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এগুলো বলছি, কারণ এসব ঘটনাগুলো ঘটানোর পেছনে সরকারের এক ধরনের আশকারা আছে মনে হয়। এক ধরনের প্রশ্রয় আছে। সরকার যেন বলতে চাচ্ছে যে এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটুক। ঘটলে কী হবে? ঘটলে যে জিনিসটা হবে- সরকার বলতে পারবে যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই এবং এক্ষেত্রে পুলিশ সম্পর্কে একটা ঢালাও কথা বলা হয়ে থাকে যে পুলিশের না কি মনোবল ফিরে আসেনি। পুলিশ না কি সক্রিয় হচ্ছে না। পুলিশ না কি শতভাগ দিচ্ছে না।
অতএব পুলিশের অবস্থান নিয়েও কিন্তু নানা ধরনের তারা দুঃখ প্রকাশ করছে, হতাশা ব্যক্ত করছে এবং সে কারণে বলছে যেহেতু পুলিশ সক্রিয় হতে পারছে না, অতএব পুলিশকে সক্রিয় না করে আমরা নির্বাচন কীভাবে দেব?
মানে মোদ্দা কথা হলো- নির্বাচনটাকে আরো বিলম্বিত করা। আরো পিছিয়ে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা।
কিন্তু যার কাছ থেকে আমরা মুক্তিটা সবচেয়ে বেশি আশা করি, প্রতিকারটা যার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আশা করি- সেটা হলো সরকারের কাছ থেকে। যে সরকার এই মবটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে এবং আমরা লক্ষ্য করছি সরকার, এটাকে এক ধরনের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
রবিবার (৬ জুলাই) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এমনটা কেন মনে হলো- এ ব্যাপারে মাসুদ কামাল বলেন, জুন মাসের ১৬ তারিখে প্রথম মব নিয়ে একটা আলোচনা করলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বললেন যে আমি এটাকে মব বলব না, এটা হলো প্রেশার গ্রুপ। মানে, যারা এ কাজটা করছে, তারা মব করছে না, তারা প্রেশার দিচ্ছে। কোনো একটা জিনিস পাওয়ার জন্য অথবা কোনো একটা অধিকার আদায়ের জন্য অথবা কোনো একটা অন্যায় হচ্ছে, সে অন্যায়কে প্রতিরোধ করার জন্য তারা প্রেশার দিচ্ছে। তারা কার উপর প্রেশার দিচ্ছে? সরকারের উপর প্রেশার দিচ্ছে, অথবা কোন একটা প্রতিষ্ঠানের উপর প্রেশার দিচ্ছে।
পটিয়ায় যে ঘটনাটা ঘটল, একটা ছেলেকে গ্রেফতার করার জন্য প্রেশার দিল- কেউ কি পারে একজন লোককে গ্রেপ্তার করতে হবে, এজন্য আপনাকে প্রেশার দিতে? একই জিনিস আমরা ধানমন্ডিতে দেখেছি। আমরা এসবকে মব বলছি। শফিকুল আলম বলছেন যে, না এটা মব না, এটা হলো প্রেশার গ্রুপ। এটা কি আসলে প্রেশার গ্রুপ? না কি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য একদল মোটিভেটেড লোকের একটা অন্যায় প্রচেষ্টা?
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ ৫ জুলাই বলেছেন, মব একটি আওয়ামী ন্যারেটিভ। মব শব্দটাকে উনি বলেছেন আওয়ামী ন্যারেটিভ।
কখনো কখনো প্রতিবাদকে মব বলা হচ্ছে আবার কখনো কখনো ছোটখাট সংঘাতকেও মব বলা হচ্ছে। সবকিছুকে এভাবে মব বলা ব্যক্তিদের অধিকাংশ সফট আওয়ামী লীগার।
তিনি বলেন, এসব অভিধার কারণে পরবর্তী সময়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করারই সাহস পাবে না, আগ্রহ অনুভব করবে না। একটা অঘটন ঘটছে, একটা অন্যায় হচ্ছে, সেটা নিয়ে একটা প্রতিবাদ করতে তখন ভাববে, এই বুঝি আমাকে সফট আওয়ামী লীগের অথবা হার্ডকোর আওয়ামী লীগের এই অভিধায় অভিযোগ করে আমাকে কর্নার করে দেওয়া হবে। কাজেই ওই লাইনে কিন্তু কেউ যাবে না।
এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এগুলো বলছি, কারণ এসব ঘটনাগুলো ঘটানোর পেছনে সরকারের এক ধরনের আশকারা আছে মনে হয়। এক ধরনের প্রশ্রয় আছে। সরকার যেন বলতে চাচ্ছে যে এই ধরনের ঘটনা আরো ঘটুক। ঘটলে কী হবে? ঘটলে যে জিনিসটা হবে- সরকার বলতে পারবে যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই এবং এক্ষেত্রে পুলিশ সম্পর্কে একটা ঢালাও কথা বলা হয়ে থাকে যে পুলিশের না কি মনোবল ফিরে আসেনি। পুলিশ না কি সক্রিয় হচ্ছে না। পুলিশ না কি শতভাগ দিচ্ছে না।
অতএব পুলিশের অবস্থান নিয়েও কিন্তু নানা ধরনের তারা দুঃখ প্রকাশ করছে, হতাশা ব্যক্ত করছে এবং সে কারণে বলছে যেহেতু পুলিশ সক্রিয় হতে পারছে না, অতএব পুলিশকে সক্রিয় না করে আমরা নির্বাচন কীভাবে দেব?
মানে মোদ্দা কথা হলো- নির্বাচনটাকে আরো বিলম্বিত করা। আরো পিছিয়ে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা।