
চকমকে পোস্টার, বড় তারকার মুখ, হাই-ভলিউম প্রোমোশন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো আকাশচুম্বী প্রত্যাশা—এসব নিয়েই শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে টলিউডের যাত্রা। কিন্তু ছয় মাস পার হতে না হতেই সেই আশা পরিণত হয়েছে হতাশায়।
পুরো ছয় মাসে মুক্তি পেয়েছে প্রায় নব্বইটি ছবি। কিন্তু তার মধ্যে দর্শকপ্রিয় বা আর্থিকভাবে সফল বলা যায় মাত্র নয়টি। অর্থাৎ দশ শতাংশ হিট রেট—যা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য নিছকই একটি সতর্কবার্তা।
দর্শক এবার আর শুধু বড় মুখের প্রতি ভরসা রাখেনি। বড় তারকা, বড় ব্যানার, ধামাকা প্রচার—সবই ধাক্কা খেয়েছে কনটেন্ট দুর্বল হলে। অনেক ছবিই শুরুতে আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে। দর্শকের আগ্রহের অভাব, ক্লান্তি আর হতাশা যেন সিনেমা হলে আসার ইচ্ছাই কমিয়ে দিয়েছে। এর মাঝেই চলছে ভুয়া কালেকশনের গুজব। বলা হচ্ছে, প্রযোজকরা ছবির আয় বাড়িয়ে দেখাচ্ছেন, যেন বাজারে ছবির প্রতি আগ্রহ জাগানো যায়। কিন্তু দর্শক এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে, আড়ম্বর আর বাস্তবতা সবসময় এক নয়।
তবু কিছু ছবি ব্যতিক্রম। জানুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া 'সঙ্ক্রান্তিকি বস্তুনাম' তৈরি করে আয়ের নতুন রেকর্ড। একইভাবে 'দাকু মহারাজ', 'থান্ডেল', 'কুবেরা' কিংবা 'কান্নাপ্পা'-র মতো ছবি দর্শকের মন ছুঁয়েছে। ছোট পরিসরের কিছু ছবিও আয় আর গল্পের দিক দিয়ে প্রশংসা পেয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা হাতে গোনা।
অন্যদিকে রামচরণ, নিথিন, বিজয় দেবেরাকোন্ডা থেকে শুরু করে চিরঞ্জীবী বা প্রভাস—অনেক বড় তারকারা এ সময় বড় কোনো রিলিজ দিতে পারেননি। কেউ কেউ দিলেও সাড়া জাগাতে পারেননি। কিছু ছবি নিয়ে যেমন ব্যাপক প্রচার ছিল, তেমনই দ্রুত ভেসে গেছে সেগুলো। এক মাসেই টলিউডে পঁচিশটি ছবি মুক্তি পেলেও একটি ছবিও সাফল্যের মুখ দেখেনি। এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন।
সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন এখন উঠছে, তা হলো—ভুয়া কালেকশন দেখিয়ে আর কতদিন দর্শককে বোকা বানানো যাবে? দর্শক এখন গল্প খোঁজে, নতুনত্ব খোঁজে, সংলাপের মধ্যে বাস্তবতা খোঁজে। শুধু বাজেট বা প্রোমোশন নয়, সিনেমার প্রাণ এখন স্ক্রিপ্টে।
তবে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে। আসছে দশেরা আর বড়দিনে টলিউডের বড় তারকারা ফিরছেন বড় রিলিজ নিয়ে। নির্মাতারাও শিখছেন, ঘরানার নতুনত্ব, সুনির্মিত চিত্রনাট্য আর সর্বভারতীয় দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবি বানাতে হবে।
২০২৫-এর প্রথম ছয় মাস টলিউডের জন্য যেমন ছিল কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার সময়, তেমনি এটি হতে পারে ভবিষ্যতের নতুন দিক নির্দেশনার সূচনা।
পুরো ছয় মাসে মুক্তি পেয়েছে প্রায় নব্বইটি ছবি। কিন্তু তার মধ্যে দর্শকপ্রিয় বা আর্থিকভাবে সফল বলা যায় মাত্র নয়টি। অর্থাৎ দশ শতাংশ হিট রেট—যা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য নিছকই একটি সতর্কবার্তা।
দর্শক এবার আর শুধু বড় মুখের প্রতি ভরসা রাখেনি। বড় তারকা, বড় ব্যানার, ধামাকা প্রচার—সবই ধাক্কা খেয়েছে কনটেন্ট দুর্বল হলে। অনেক ছবিই শুরুতে আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে। দর্শকের আগ্রহের অভাব, ক্লান্তি আর হতাশা যেন সিনেমা হলে আসার ইচ্ছাই কমিয়ে দিয়েছে। এর মাঝেই চলছে ভুয়া কালেকশনের গুজব। বলা হচ্ছে, প্রযোজকরা ছবির আয় বাড়িয়ে দেখাচ্ছেন, যেন বাজারে ছবির প্রতি আগ্রহ জাগানো যায়। কিন্তু দর্শক এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে, আড়ম্বর আর বাস্তবতা সবসময় এক নয়।
তবু কিছু ছবি ব্যতিক্রম। জানুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া 'সঙ্ক্রান্তিকি বস্তুনাম' তৈরি করে আয়ের নতুন রেকর্ড। একইভাবে 'দাকু মহারাজ', 'থান্ডেল', 'কুবেরা' কিংবা 'কান্নাপ্পা'-র মতো ছবি দর্শকের মন ছুঁয়েছে। ছোট পরিসরের কিছু ছবিও আয় আর গল্পের দিক দিয়ে প্রশংসা পেয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা হাতে গোনা।
অন্যদিকে রামচরণ, নিথিন, বিজয় দেবেরাকোন্ডা থেকে শুরু করে চিরঞ্জীবী বা প্রভাস—অনেক বড় তারকারা এ সময় বড় কোনো রিলিজ দিতে পারেননি। কেউ কেউ দিলেও সাড়া জাগাতে পারেননি। কিছু ছবি নিয়ে যেমন ব্যাপক প্রচার ছিল, তেমনই দ্রুত ভেসে গেছে সেগুলো। এক মাসেই টলিউডে পঁচিশটি ছবি মুক্তি পেলেও একটি ছবিও সাফল্যের মুখ দেখেনি। এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন।
সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন এখন উঠছে, তা হলো—ভুয়া কালেকশন দেখিয়ে আর কতদিন দর্শককে বোকা বানানো যাবে? দর্শক এখন গল্প খোঁজে, নতুনত্ব খোঁজে, সংলাপের মধ্যে বাস্তবতা খোঁজে। শুধু বাজেট বা প্রোমোশন নয়, সিনেমার প্রাণ এখন স্ক্রিপ্টে।
তবে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে। আসছে দশেরা আর বড়দিনে টলিউডের বড় তারকারা ফিরছেন বড় রিলিজ নিয়ে। নির্মাতারাও শিখছেন, ঘরানার নতুনত্ব, সুনির্মিত চিত্রনাট্য আর সর্বভারতীয় দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবি বানাতে হবে।
২০২৫-এর প্রথম ছয় মাস টলিউডের জন্য যেমন ছিল কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার সময়, তেমনি এটি হতে পারে ভবিষ্যতের নতুন দিক নির্দেশনার সূচনা।