
জ্বলে উঠেছে পারস্য উপসাগরের আগুন, আর সেই শিখা এখন ধেয়ে আসছে সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতির দিকেই। হরমুজ প্রণালী বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথ, সেটিই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি সামুদ্রিক পথ বন্ধ হওয়া নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি শুরুর বার্তা। আর তার ঢেউ এসে ভেঙে পড়বে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অসংখ্য দেশের ঘাড়ে।
পারস্য উপসাগর আর ওমান উপসাগরের মাঝখানে হরমুজ প্রণালী। ছোট একটি চোকপয়েন্ট, কিন্তু শক্তির এক বিশাল কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় দুই কোটির বেশি ব্যারেল তেল এই পথে পরিবাহিত হয়। এই একটিমাত্র পথ দিয়েই সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত তাদের অধিকাংশ তেল পাঠায় বিশ্ববাজারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায়।
বিশ্বে যে কয়টি দেশ হরমুজ প্রণালীর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল, তার শীর্ষে আছে সৌদি আরব। প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ ব্যারেল তেল এই প্রণালী দিয়েই রপ্তানি করে দেশটি। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও এই পথের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এই একটিমাত্র সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে দুলিয়ে দিতে পারে।
এই সংকটের মূল উৎপত্তি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধমুখী উত্তেজনা। তবে তা এখন কেবল আঞ্চলিক সংকট নেই, বরং পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ যেহেতু আমদানি নির্ভর জ্বালানির ওপর নির্ভর করে, তাই হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়া মানে সরাসরি জ্বালানি নিরাপত্তার উপর চরম আঘাত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে তেলের দামে, বৈদেশিক বাণিজ্যে, শিল্প উৎপাদনে এমনকি রপ্তানির প্রতিযোগিতায়ও। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার চাপে পড়বে, আমদানি খরচ বাড়বে, ফলে বেড়ে যাবে পণ্যের দাম। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে আসতে পারে এক নতুন দুর্দশা।
ইরান শুধু বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশই নয়, বরং হরমুজ প্রণালীর কার্যত নিয়ন্ত্রকও। এখন এই পথ বন্ধ হওয়ায় জাহাজগুলোকে বিকল্প ও দীর্ঘ পথে ঘুরে আসতে হবে, যা আমদানি ও রপ্তানির খরচ বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই খরচ বৃদ্ধির ধাক্কা সরাসরি আঘাত হানবে বাংলাদেশের বাজারে।
যদিও ইরানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কখনো বৈরি নয়, বরং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে উষ্ণই বলা চলে। কিন্তু তবুও, বিশ্ব অর্থনীতির এই টানাপোড়েনে বাংলাদেশকেও গুনতে হতে পারে বড় মাশুল।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই সংকট কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাকেন্দ্রিক নয়। এটি এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মতো তেল-নির্ভর দেশগুলো পড়বে ভয়াবহ চাপে। অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে এই সংকট সামাল দিতে পারবে দ্রুত।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি সামুদ্রিক পথ বন্ধ হওয়া নয়, এটি একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুনামি শুরুর বার্তা। আর তার ঢেউ এসে ভেঙে পড়বে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অসংখ্য দেশের ঘাড়ে।
পারস্য উপসাগর আর ওমান উপসাগরের মাঝখানে হরমুজ প্রণালী। ছোট একটি চোকপয়েন্ট, কিন্তু শক্তির এক বিশাল কেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় দুই কোটির বেশি ব্যারেল তেল এই পথে পরিবাহিত হয়। এই একটিমাত্র পথ দিয়েই সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত তাদের অধিকাংশ তেল পাঠায় বিশ্ববাজারে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায়।
বিশ্বে যে কয়টি দেশ হরমুজ প্রণালীর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল, তার শীর্ষে আছে সৌদি আরব। প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ ব্যারেল তেল এই প্রণালী দিয়েই রপ্তানি করে দেশটি। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও এই পথের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এই একটিমাত্র সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে দুলিয়ে দিতে পারে।
এই সংকটের মূল উৎপত্তি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধমুখী উত্তেজনা। তবে তা এখন কেবল আঞ্চলিক সংকট নেই, বরং পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ যেহেতু আমদানি নির্ভর জ্বালানির ওপর নির্ভর করে, তাই হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়া মানে সরাসরি জ্বালানি নিরাপত্তার উপর চরম আঘাত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে তেলের দামে, বৈদেশিক বাণিজ্যে, শিল্প উৎপাদনে এমনকি রপ্তানির প্রতিযোগিতায়ও। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার চাপে পড়বে, আমদানি খরচ বাড়বে, ফলে বেড়ে যাবে পণ্যের দাম। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে আসতে পারে এক নতুন দুর্দশা।
ইরান শুধু বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশই নয়, বরং হরমুজ প্রণালীর কার্যত নিয়ন্ত্রকও। এখন এই পথ বন্ধ হওয়ায় জাহাজগুলোকে বিকল্প ও দীর্ঘ পথে ঘুরে আসতে হবে, যা আমদানি ও রপ্তানির খরচ বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই খরচ বৃদ্ধির ধাক্কা সরাসরি আঘাত হানবে বাংলাদেশের বাজারে।
যদিও ইরানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কখনো বৈরি নয়, বরং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে উষ্ণই বলা চলে। কিন্তু তবুও, বিশ্ব অর্থনীতির এই টানাপোড়েনে বাংলাদেশকেও গুনতে হতে পারে বড় মাশুল।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই সংকট কেবল মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ-আমেরিকাকেন্দ্রিক নয়। এটি এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত করছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মতো তেল-নির্ভর দেশগুলো পড়বে ভয়াবহ চাপে। অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে এই সংকট সামাল দিতে পারবে দ্রুত।