• বেসরকারি ডিপোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা
• একদিনে দুই হাজার কনটেইনার ডেলিভারি
• বন্দরেও রয়েছে ৪২ হাজারের বেশি কনটেইনার
চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানতম চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে। বন্দর পরিচালনায়ও তৈরি হয়েছে জটিলতা। বর্তমানে জমে আছে ৪২ হাজারের বেশি কনটেইনার। জট দ্রুত না কাটাতে পারলে বেসরকারি ডিপোগুলোও চাপে পড়বে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট ও ব্যবহারকারীরা বলছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় বন্দর পরিচালনায়ও গতি বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কনটেইনার খালাস ও জাহাজীকরণ করছে।
জানা যায়, বন্দরে কনটেইনার বেশি কিংবা জটলা থাকলে বার্থ ও জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসে বিঘ্ন ঘটে। এতে বাইরের ডিপো থেকে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে প্রবেশ করা কনটেইনারও ইয়ার্ডে রাখতে হয়। আবার জাহাজ খালাস করতে রপ্তানিমুখী কনটেইনার নিয়েও তৈরি হয় বিপত্তি। এ কারণে ডিপোতে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার বেড়ে যাবে। এক সপ্তাহ আগে ১৯ বেসরকারি ডিপোতে সাড়ে ৯ হাজার রপ্তানিপণ্য ভর্তি ছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ হাজার বেড়েছে।
গত কয়েকদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বন্দর অপারেশনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বন্দর অপারেশনের গতিও বেড়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার বন্দরে ছিল। এখন যানবাহন চলাচল বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।- বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪২ হাজার ৬৩৮ টিইইউএস (২০ ফুট একক হিসেবে) কনটেইনার ছিল। যার বেশিরভাগই আমদানিপণ্য ভর্তি। আগের দিন ছিল ৪৪ হাজার ১১৭ টিইইউএস কনটেইনার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৩৮ টিইউএস কনটেইনার বন্দর থেকে ডিসচার্জ হয়। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ডিসচার্জ হয় মাত্র ৩২৯ টিইইউএস কনটেইনার। বন্দরে স্বাভাবিক সময়ে ৩১ হাজার টিইইউএস কমবেশি কনটেইনার থাকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ টিইইউএস। এর মধ্যে আমদানিপণ্য ভর্তি ২ হাজার ১৩ টিইইউএস, খালি ও রপ্তানিপণ্য বোঝাই ২ হাজার ৯৫৮ টিইইউএস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। একই সময়ে আইসিডি ও পানগাঁও আইসিডিতে পাঠানোর জন্য ১৩২ টিইইউএস কনটেইনার জাহাজ থেকে গ্রহণ করে বন্দর।
বন্দরে কনটেইনার জট, অপারেশনেও জটিলতা
বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে বর্তমানে রপ্তানিপণ্য বোঝাই ৮ হাজার ৬০০, আমদানিপণ্য বোঝাই ১২ হাজার ৭৮৭ টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। ডিপোগুলোতে বর্তমানে খালি কনটেইনার রয়েছে ৪৩ হাজারের মতো।’
‘গত ২৪ ঘণ্টায় ডিপোগুলো থেকে ২ হাজার ৩১২ টিইইউএস কনটেইনার বন্দরে জাহাজীকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। খালাস দেওয়া হয়েছে ৮৮৯ টিইইউএস কনটেইনার আমদানিপণ্য। পাশাপাশি ১৫০৯ টিইউএস কনটেইনার রপ্তানিযোগ্য পণ্য গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপোগুলো গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বন্দর থেকে ৩৭৯ টিইইউএস কনটেইনার আমদানিপণ্য বন্দর থেকে ডিপোগুলোতে এসেছে।’
রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিপোগুলোর অপারেশন এবং অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের বিষয়টিতে আমরা তেমনটি মাথা ঘামাই না। তবে বন্দরে কনটেইনারের জট হলে তার প্রভাব আমাদের ডিপোগুলোতেও পড়বে।’
এ বিষয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ২২শ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি দিয়েছি। এখনো ৪২ হাজারের কিছু বেশি কনটেইনার বন্দর অভ্যন্তরে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বন্দর অপারেশনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বন্দর অপারেশনের গতিও বেড়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার বন্দরে ছিল। এখন যানবাহন চলাচল বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।’
বন্দরে কনটেইনার জট, অপারেশনেও জটিলতা
সচিব আরও বলেন, ‘রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আইসিডির কনটেইনারগুলো ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রভাবেও কনটেইনার জটলা বেড়েছে। তাছাড়া দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আমদানিকারকরাও পণ্য খালাসে সময়ক্ষেপণ করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে বন্দরের কার্যক্রমেও আরও গতি আসবে।’
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের শেষদিকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, সাধারণ ছুটিতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং কারফিউতে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থমকে দাঁড়ায়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও ছাত্রদের আন্দোলন জোরদার হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়।
দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ৩ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করলে বন্দর পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়। দুদিন বন্ধ থাকে পোশাক কারখানাও। এতে আগে থেকে তৈরি হওয়া কনটেইনার জট আরও তীব্রতর হয়।
• একদিনে দুই হাজার কনটেইনার ডেলিভারি
• বন্দরেও রয়েছে ৪২ হাজারের বেশি কনটেইনার
চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানতম চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে কনটেইনার জট তৈরি হয়েছে। বন্দর পরিচালনায়ও তৈরি হয়েছে জটিলতা। বর্তমানে জমে আছে ৪২ হাজারের বেশি কনটেইনার। জট দ্রুত না কাটাতে পারলে বেসরকারি ডিপোগুলোও চাপে পড়বে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট ও ব্যবহারকারীরা বলছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় বন্দর পরিচালনায়ও গতি বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কনটেইনার খালাস ও জাহাজীকরণ করছে।
জানা যায়, বন্দরে কনটেইনার বেশি কিংবা জটলা থাকলে বার্থ ও জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাসে বিঘ্ন ঘটে। এতে বাইরের ডিপো থেকে জাহাজীকরণের জন্য বন্দরে প্রবেশ করা কনটেইনারও ইয়ার্ডে রাখতে হয়। আবার জাহাজ খালাস করতে রপ্তানিমুখী কনটেইনার নিয়েও তৈরি হয় বিপত্তি। এ কারণে ডিপোতে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার বেড়ে যাবে। এক সপ্তাহ আগে ১৯ বেসরকারি ডিপোতে সাড়ে ৯ হাজার রপ্তানিপণ্য ভর্তি ছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ হাজার বেড়েছে।
গত কয়েকদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বন্দর অপারেশনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বন্দর অপারেশনের গতিও বেড়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার বন্দরে ছিল। এখন যানবাহন চলাচল বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।- বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪২ হাজার ৬৩৮ টিইইউএস (২০ ফুট একক হিসেবে) কনটেইনার ছিল। যার বেশিরভাগই আমদানিপণ্য ভর্তি। আগের দিন ছিল ৪৪ হাজার ১১৭ টিইইউএস কনটেইনার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৩৮ টিইউএস কনটেইনার বন্দর থেকে ডিসচার্জ হয়। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ডিসচার্জ হয় মাত্র ৩২৯ টিইইউএস কনটেইনার। বন্দরে স্বাভাবিক সময়ে ৩১ হাজার টিইইউএস কমবেশি কনটেইনার থাকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ হাজার ৯৭১ টিইইউএস। এর মধ্যে আমদানিপণ্য ভর্তি ২ হাজার ১৩ টিইইউএস, খালি ও রপ্তানিপণ্য বোঝাই ২ হাজার ৯৫৮ টিইইউএস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়েছে। একই সময়ে আইসিডি ও পানগাঁও আইসিডিতে পাঠানোর জন্য ১৩২ টিইইউএস কনটেইনার জাহাজ থেকে গ্রহণ করে বন্দর।
বন্দরে কনটেইনার জট, অপারেশনেও জটিলতা
বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে বর্তমানে রপ্তানিপণ্য বোঝাই ৮ হাজার ৬০০, আমদানিপণ্য বোঝাই ১২ হাজার ৭৮৭ টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। ডিপোগুলোতে বর্তমানে খালি কনটেইনার রয়েছে ৪৩ হাজারের মতো।’
‘গত ২৪ ঘণ্টায় ডিপোগুলো থেকে ২ হাজার ৩১২ টিইইউএস কনটেইনার বন্দরে জাহাজীকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। খালাস দেওয়া হয়েছে ৮৮৯ টিইইউএস কনটেইনার আমদানিপণ্য। পাশাপাশি ১৫০৯ টিইউএস কনটেইনার রপ্তানিযোগ্য পণ্য গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপোগুলো গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বন্দর থেকে ৩৭৯ টিইইউএস কনটেইনার আমদানিপণ্য বন্দর থেকে ডিপোগুলোতে এসেছে।’
রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিপোগুলোর অপারেশন এবং অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের বিষয়টিতে আমরা তেমনটি মাথা ঘামাই না। তবে বন্দরে কনটেইনারের জট হলে তার প্রভাব আমাদের ডিপোগুলোতেও পড়বে।’
এ বিষয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ২২শ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি দিয়েছি। এখনো ৪২ হাজারের কিছু বেশি কনটেইনার বন্দর অভ্যন্তরে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বন্দর অপারেশনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বন্দর অপারেশনের গতিও বেড়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার বন্দরে ছিল। এখন যানবাহন চলাচল বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।’
বন্দরে কনটেইনার জট, অপারেশনেও জটিলতা
সচিব আরও বলেন, ‘রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আইসিডির কনটেইনারগুলো ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রভাবেও কনটেইনার জটলা বেড়েছে। তাছাড়া দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আমদানিকারকরাও পণ্য খালাসে সময়ক্ষেপণ করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে বন্দরের কার্যক্রমেও আরও গতি আসবে।’
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের শেষদিকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, সাধারণ ছুটিতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং কারফিউতে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থমকে দাঁড়ায়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও ছাত্রদের আন্দোলন জোরদার হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়।
দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ৩ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করলে বন্দর পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়। দুদিন বন্ধ থাকে পোশাক কারখানাও। এতে আগে থেকে তৈরি হওয়া কনটেইনার জট আরও তীব্রতর হয়।