বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ এবং আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানিয়েছেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, "কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে বিপুল সংখ্যক ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।"
তিনি আরও বলেন, "এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রাণহানি ও নাশকতার জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।"
ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, "গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সারা দেশে আটক করা ছাত্র-জনতাকে মুক্তি দিতে হবে এবং অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।"
এই বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনা জরুরি।"