ঋণ থেকে মুক্তির জন্য করণীয় আমল

আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৪ ০৪:২৮:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৪ ০৪:২৮:১৫ অপরাহ্ন

অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়লে মানুষ অনেক সময় ঋণ নিতে বাধ্য হয়। তবে ইসলামে সাধ্যের বাইরে ঋণ দেওয়া-নেওয়া দুটিই নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, এতে সময়মতো ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা কমে যায়, যা ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতা উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

 

মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন যাতে তিনি ঋণে জড়িয়ে না পড়েন। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজের পরে দোয়া করতেন—"হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে পানাহ চাচ্ছি।" একবার এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলেন, "হে আল্লাহর রাসুল, আপনি ঋণ থেকে বেশি পানাহ চান কেন?" রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, "মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে।" (বুখারি, হাদিস: ২৩৯৭)

 

হাদিসে ঋণ থেকে মুক্তির জন্য আরও কয়েকটি দোয়া রয়েছে। একটি দোয়া হলো, "আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল-আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।" অর্থাৎ, "হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমনপীড়ন থেকে।" (বুখারি, হাদিস: ২৮৯৩)। ঋণ থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত এই দোয়াগুলো পড়া এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি নিজের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে ঋণের প্রয়োজন না হয়।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ

প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক: রেজাউল করিম

অফিস :

প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, দিলকোশা, সাধারণ বিমা ভবন, লিফট-৪ (৫ম তলা), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ ।

রেজিঃ নং ডিএ ৬৪৪২।  নিবন্ধিত দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল নং ৮৪।