
দেশে দিন দিন বাড়ছে থ্যালাসিমিয়া রোগী। দেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর মধ্যে গত সাত বছরে রোগী বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। আবার প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসিমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।
তাই সমাজে থ্যালাসিমিয়া রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, থ্যালাসিমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ।
বর্তমানে দেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা পেলে থ্যালাসিমিয়া রোগী সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন। এই রোগের চিকিৎসায় সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রক্তরোগ, রক্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, থ্যালাসিমিয়া প্রতিরোধযোগ্য। স্বামী-স্ত্রী দুজনই থ্যালাসিমিয়ার বাহক হলে তখনই সন্তানের এ রোগ হতে পারে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুজনের একজন যদি বাহক হন এবং অন্যজন সুস্থ হন, তাহলে কখনো এ রোগ হবে না। তাই বিয়ের আগে হবু স্বামী বা স্ত্রী থ্যালাসিমিয়ার বাহক কি না, তা সবারই জেনে নেওয়া দরকার। এ জন্য বিয়ে নিবন্ধনের সময়ে থ্যালাসিমিয়া আছে কি না, বিষয়টি দেখা যেতে পারে।
বাহকদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করে সাইপ্রাস, ইতালি ও গ্রিসের মতো দেশ থ্যালাসিমিয়া রোগী প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তাই এই চিন্তা থেকেই থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোগীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা দেয়ার উদ্যোগ নেই ২০০২ সালের দিকে। এই রোগ সস্পর্কে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন ও থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতাল যৌথ উদ্যোগে আগামী ১০ মে একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন। এই আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও সঙ্গী হবেন, থ্যালাসিমিয়া রোগী, রক্তদাতা, তরুণ স্বেচ্ছাসেবক, শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, রোগীর অভিভাবকরা।
তাই সমাজে থ্যালাসিমিয়া রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, থ্যালাসিমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ।
বর্তমানে দেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা পেলে থ্যালাসিমিয়া রোগী সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন। এই রোগের চিকিৎসায় সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রক্তরোগ, রক্ত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, থ্যালাসিমিয়া প্রতিরোধযোগ্য। স্বামী-স্ত্রী দুজনই থ্যালাসিমিয়ার বাহক হলে তখনই সন্তানের এ রোগ হতে পারে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুজনের একজন যদি বাহক হন এবং অন্যজন সুস্থ হন, তাহলে কখনো এ রোগ হবে না। তাই বিয়ের আগে হবু স্বামী বা স্ত্রী থ্যালাসিমিয়ার বাহক কি না, তা সবারই জেনে নেওয়া দরকার। এ জন্য বিয়ে নিবন্ধনের সময়ে থ্যালাসিমিয়া আছে কি না, বিষয়টি দেখা যেতে পারে।
বাহকদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করে সাইপ্রাস, ইতালি ও গ্রিসের মতো দেশ থ্যালাসিমিয়া রোগী প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান জানান, সরকারি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তাই এই চিন্তা থেকেই থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোগীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা দেয়ার উদ্যোগ নেই ২০০২ সালের দিকে। এই রোগ সস্পর্কে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন ও থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতাল যৌথ উদ্যোগে আগামী ১০ মে একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন। এই আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও সঙ্গী হবেন, থ্যালাসিমিয়া রোগী, রক্তদাতা, তরুণ স্বেচ্ছাসেবক, শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, রোগীর অভিভাবকরা।