প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও দেশের চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।"
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের তিন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তারা হলেন এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। রাজধানীর প্রগতি সরণি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা গেট, আফতাবনগর, পল্টন, প্রেসক্লাব, আজিমপুর, কাঁটাবন, খিলগাঁও রেলগেট, সাইন্স ল্যাব, রামপুরা, বনশ্রী এবং মিরপুর ১০ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
পুলিশ সদস্যরা এসব স্থানে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থিত নীল দলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্থিতি শান্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।