
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর দেশত্যাগ করেন সাবেক বিসিবি সভাপতি পাপন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে আসেন নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ তখনই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করেন। কোচের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হয়ে দেশত্যাগ করেন এই লঙ্কান কোচ, দেশত্যাগ করার সময় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছিলেন বলে জানান হাথুরু।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন হাথুরুসিংহে। যার সারাংশ ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সাবেক কোচ বলেন, “আমার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সিইওর শেষ কথা ছিল, আমার চলে যাওয়া উচিত। সে বলেছিল, ‘বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, আপনার কি টিকিট আছে?’ এটি আমার জন্য একটি সতর্কতা সংকেত ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই।”
সেই সাথে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন বলে জানান হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, সাধারণত সেই দেশে বাইরে বের হলে আমার একজন ড্রাইভার এবং একজন গণ্যমান্য সঙ্গে থাকতো। সে বলেছিল, আজ কি আপনার গণ্যমান্য ও ড্রাইভারকে এনেছেন? আমি বললাম, না, শুধু ড্রাইভার আছে।
বাংলাদেশের সাবেক কোচ আরো বলেন, আমি সরাসরি ব্যাংকে গিয়েছিলাম, দেশ ছাড়ার টাকা তোলার চেষ্টা করছিলাম। আমি যখন ব্যাংকে ছিলাম তখন টিভিতে একটি ব্রেকিং নিউজ প্রচার হচ্ছিল, চণ্ডিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করার কারণে।
ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার এগিয়ে আসেন, যখন এই খবর সামনে এলো, তখন ব্যাংক ম্যানেজার বললেন, কোচ, আমাকে আপনার সঙ্গে যেতে হবে। রাস্তায় মানুষ আপনাকে দেখলে সেটা আপনার জন্য নিরাপদ নয়।
বিমানবন্দরেও নিজেকে গোপন রাখেন হাথুরু। এই বিষয়ে তিনি বলেন, তখন আমি আতঙ্কিত, কারণ আমাকে দেশ থেকে বের হতে হবে। আমার এক বন্ধু আমাকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যরাতের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিল। আমি টুপি ও হুডি পরে ছিলাম। অনিরাপদ লাগছিল নিজেকে।
ওই সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছিল, সেসব মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল হাথুরুসিংহের, “দেশ ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করার জন্য তারা আমাকে বিমানবন্দরে গ্রেফতার করতে পারতো। এমন একটি ঘটনাও ঘটেছে, যখন আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এবং বিমানটি রানওয়েতে থামানো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে নামিয়ে এনেছিল। এই সব আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন। তারপর প্রবেশপথের এক্স-রে মেশিনে যাচাই বাছাই শেষে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আমাকে বললেন, ‘আমি দুঃখিত কোচ, আপনি চলে যাচ্ছেন, আমি খুবই দুঃখিত (আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে)।’ আমি আমার জীবনের জন্য ভীত ছিলাম এবং তিনি বলছিলেন যে আমি তাদের দেশের জন্য কিছু করেছি।”
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন হাথুরুসিংহে। যার সারাংশ ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সাবেক কোচ বলেন, “আমার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সিইওর শেষ কথা ছিল, আমার চলে যাওয়া উচিত। সে বলেছিল, ‘বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, আপনার কি টিকিট আছে?’ এটি আমার জন্য একটি সতর্কতা সংকেত ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই।”
সেই সাথে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন বলে জানান হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, সাধারণত সেই দেশে বাইরে বের হলে আমার একজন ড্রাইভার এবং একজন গণ্যমান্য সঙ্গে থাকতো। সে বলেছিল, আজ কি আপনার গণ্যমান্য ও ড্রাইভারকে এনেছেন? আমি বললাম, না, শুধু ড্রাইভার আছে।
বাংলাদেশের সাবেক কোচ আরো বলেন, আমি সরাসরি ব্যাংকে গিয়েছিলাম, দেশ ছাড়ার টাকা তোলার চেষ্টা করছিলাম। আমি যখন ব্যাংকে ছিলাম তখন টিভিতে একটি ব্রেকিং নিউজ প্রচার হচ্ছিল, চণ্ডিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করার কারণে।
ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার এগিয়ে আসেন, যখন এই খবর সামনে এলো, তখন ব্যাংক ম্যানেজার বললেন, কোচ, আমাকে আপনার সঙ্গে যেতে হবে। রাস্তায় মানুষ আপনাকে দেখলে সেটা আপনার জন্য নিরাপদ নয়।
বিমানবন্দরেও নিজেকে গোপন রাখেন হাথুরু। এই বিষয়ে তিনি বলেন, তখন আমি আতঙ্কিত, কারণ আমাকে দেশ থেকে বের হতে হবে। আমার এক বন্ধু আমাকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মধ্যরাতের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়েছিল। আমি টুপি ও হুডি পরে ছিলাম। অনিরাপদ লাগছিল নিজেকে।
ওই সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছিল, সেসব মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল হাথুরুসিংহের, “দেশ ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করার জন্য তারা আমাকে বিমানবন্দরে গ্রেফতার করতে পারতো। এমন একটি ঘটনাও ঘটেছে, যখন আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন এবং বিমানটি রানওয়েতে থামানো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে নামিয়ে এনেছিল। এই সব আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন। তারপর প্রবেশপথের এক্স-রে মেশিনে যাচাই বাছাই শেষে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আমাকে বললেন, ‘আমি দুঃখিত কোচ, আপনি চলে যাচ্ছেন, আমি খুবই দুঃখিত (আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে)।’ আমি আমার জীবনের জন্য ভীত ছিলাম এবং তিনি বলছিলেন যে আমি তাদের দেশের জন্য কিছু করেছি।”