
বাংলাদেশ ভ্রমণে নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য তৃতীয় ধাপের (পুনর্বিবেচনা) সতর্কতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ভ্রমণে চতুর্থ ধাপের সতর্কতা (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ নির্দেশিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে।
গতকাল জারি করা সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে নাগরিক অস্থিরতা ও সংঘর্ষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েত থেকেও দূরে থাকা উচিত। কারণ, সামান্য বা কোনো পূর্ব সতর্কবার্তা ছাড়াই সেগুলো সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভ্রমণকারীদের জনাকীর্ণ এলাকায় পকেটমারের মতো ছোটখাটো অপরাধের বিষয়েও সতর্ক থাকা উচিত। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে চুরি, ডাকাতি, হামলা এবং অবৈধ মাদক পাচারের মতো অপরাধ প্রায়শই হয়। তবে বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয় কি না এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। এই অপরাধগুলো পরিস্থিতি, সময় এবং অবস্থাননির্ভর। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী সহিংসতার তালিকায় রয়েছে, যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা এবং অন্যান্য কার্যকলাপও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের কূটনৈতিক এনক্লেভের বাইরে রাজধানী ঢাকা শহরেও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধ।
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের জন্য লেভেল-৪ বা চতুর্স্তরীয় সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় (সম্মিলিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত) মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলে যেসব অপহরণের ঘটনা ঘটে, তার বেশির ভাগই হয় পারিবারিক বিরোধের কারণে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং রাজনৈতিক সহিংসতাও এই অঞ্চলে ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে। তার মধ্যে রয়েছে আইইডি বিস্ফোরণ এবং গুলি চালনার মতো ঘটনা।
তবে কক্সবাজার বা সিলেটে ভ্রমণের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ভ্রমণকারীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপনি যদি এই এলাকাগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা অফিস থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের এই এলাকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ। কোনো কারণেই এই এলাকায় ভ্রমণ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কোনও দেশে ভ্রমণের আগে পরিস্থিতি বুঝে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দিতে তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি করা হয়। মূলত, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ভ্রমণ এড়ানো যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তবেই যাওয়া উচিত।
এছাড়া দেশটির নাগরিকদের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত, কোনও স্থানে ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে চতুর্থ ধাপের সতর্কতা জারি করা হয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ নির্দেশিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে।
গতকাল জারি করা সর্বশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে নাগরিক অস্থিরতা ও সংঘর্ষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েত থেকেও দূরে থাকা উচিত। কারণ, সামান্য বা কোনো পূর্ব সতর্কবার্তা ছাড়াই সেগুলো সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভ্রমণকারীদের জনাকীর্ণ এলাকায় পকেটমারের মতো ছোটখাটো অপরাধের বিষয়েও সতর্ক থাকা উচিত। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে চুরি, ডাকাতি, হামলা এবং অবৈধ মাদক পাচারের মতো অপরাধ প্রায়শই হয়। তবে বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয় কি না এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। এই অপরাধগুলো পরিস্থিতি, সময় এবং অবস্থাননির্ভর। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী সহিংসতার তালিকায় রয়েছে, যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা এবং অন্যান্য কার্যকলাপও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের কূটনৈতিক এনক্লেভের বাইরে রাজধানী ঢাকা শহরেও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধ।
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের জন্য লেভেল-৪ বা চতুর্স্তরীয় সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় (সম্মিলিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত) মাঝেমধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলে যেসব অপহরণের ঘটনা ঘটে, তার বেশির ভাগই হয় পারিবারিক বিরোধের কারণে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং রাজনৈতিক সহিংসতাও এই অঞ্চলে ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে। তার মধ্যে রয়েছে আইইডি বিস্ফোরণ এবং গুলি চালনার মতো ঘটনা।
তবে কক্সবাজার বা সিলেটে ভ্রমণের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ভ্রমণকারীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপনি যদি এই এলাকাগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা অফিস থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। বাংলাদেশে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের এই এলাকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ। কোনো কারণেই এই এলাকায় ভ্রমণ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কোনও দেশে ভ্রমণের আগে পরিস্থিতি বুঝে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দিতে তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি করা হয়। মূলত, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ভ্রমণ এড়ানো যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তবেই যাওয়া উচিত।
এছাড়া দেশটির নাগরিকদের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত, কোনও স্থানে ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে চতুর্থ ধাপের সতর্কতা জারি করা হয়।