
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় আসছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫’-এর খসড়া ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। নতুন এই বিধিমালায় নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ, পোষ্যদের জন্য ২০ শতাংশ ও পুরুষদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হচ্ছে।
এর বদলে নিয়োগ হবে মূলত মেধার ভিত্তিতে—৯৩ শতাংশ পদে প্রতিযোগিতা হবে খোলামেলা। কেবল ৭ শতাংশ কোটা থাকবে বিশেষ শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য। এর মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য।
তবে নতুন নিয়োগ নীতিতে বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারীরা—এদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ২০ শতাংশ পদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, “প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে, কোনো পোষ্য কোটা থাকবে না।”
খসড়া বিধিমালাটি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। এরপর তা অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগতে পারে তিন থেকে ছয় মাস।
বর্তমানে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে, যা বাড়তে বাড়তে ১০ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সহকারী শিক্ষকের পাশাপাশি নতুন বিধিমালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশজুড়ে মোট ২,৫৮৩টি ক্লাস্টারে একজন করে সংগীত ও একজন করে শারীরিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে—মোট ৫,১৬৬টি নতুন পদ সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতি ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় নিয়ে গঠিত একটি ক্লাস্টারের জন্য দুইজন বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই দুটি নতুন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও নতুন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের পর শুরু হবে।
এই পরিবর্তন দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে—যেখানে গুরুত্ব পাবে দক্ষতা, মেধা ও আধুনিক পাঠদানের উপযোগী শিক্ষক নিয়োগ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো
এর বদলে নিয়োগ হবে মূলত মেধার ভিত্তিতে—৯৩ শতাংশ পদে প্রতিযোগিতা হবে খোলামেলা। কেবল ৭ শতাংশ কোটা থাকবে বিশেষ শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য। এর মধ্যে ৫ শতাংশ কোটা থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য।
তবে নতুন নিয়োগ নীতিতে বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারীরা—এদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ২০ শতাংশ পদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, “প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে, কোনো পোষ্য কোটা থাকবে না।”
খসড়া বিধিমালাটি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। এরপর তা অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগতে পারে তিন থেকে ছয় মাস।
বর্তমানে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে, যা বাড়তে বাড়তে ১০ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সহকারী শিক্ষকের পাশাপাশি নতুন বিধিমালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশজুড়ে মোট ২,৫৮৩টি ক্লাস্টারে একজন করে সংগীত ও একজন করে শারীরিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে—মোট ৫,১৬৬টি নতুন পদ সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ, প্রতি ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় নিয়ে গঠিত একটি ক্লাস্টারের জন্য দুইজন বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই দুটি নতুন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও নতুন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের পর শুরু হবে।
এই পরিবর্তন দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে—যেখানে গুরুত্ব পাবে দক্ষতা, মেধা ও আধুনিক পাঠদানের উপযোগী শিক্ষক নিয়োগ।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো