
গত ৫ আগস্ট ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ঢাকা থেকে দিল্লিতে গিয়ে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফেরত আনতে ভারত সরকারকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ব্যাংককে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, সম্প্রতি বিএমসটেক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস) হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আমি এটুকু বলবো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি বিমসটেকে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমার যেটা মনে হয়, একটি ইতিবাচক পরিবেশে সাক্ষাৎটা হয়েছে এবং দুইপক্ষ সম্পর্ক ভালো রাখার এবং করার ওপর জোর দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী উত্তেজনাকর বক্তব্য পরিহার করতে বরেছেন। আমরা নিজেরাও এই পয়েন্টে একমত। এটি আসলে একতরফাভাবে হচ্ছে, সেরকম নয়। হয়তো আমাদের কেউ কেউ বলছেন, যেটি তাদের না বলাই ভালো। একই কাজ ভারত থেকেও হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় প্রতিদিনই শক্ত শক্ত কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ কেউ এটা করেছেন। সম্পর্ক উন্নয়ন করতে গেলে বরং আপত্তিকর কথাবার্তা কোনও পক্ষ থেকে না বলাই ভালো। আমরা বিষয়টি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি।
নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা তারা সবসময় বলে। এই সরকার তো নিজের থেকে বলেছে যে যথাশীঘ্র সম্ভব তাদের দায়িত্ব শেষ করে, যেসব দায়িত্ব এই সরকারের ওপর আছে সেগুলো শেষ করে, যথাশীঘ্র সম্ভব নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটি এই সরকারের অঙ্গীকার। নির্বাচনের কথা প্রায়শই উচ্চারিত হয়। এমন কী যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই সেইসব দেশও জানতে চায়। একধরনের প্রেডিক্টিবিলিটি তারা চায়। এখানে বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে এবং তারা জানতে চাইতেই পারেন কি হবে বা কখন কোন সরকার আসবে।
ভারতের ভিসা জটিলতা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের ভিসা সম্পূর্ণ তাদের সার্বভৌম অধিকার। তারা যদি না দেয়, তবে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। ভিসা বিষয়টি তাদের নিজস্ব। এটি যদি না হয়, তবে যেটি হবে কোথাও শূন্যতা থাকে না। যদি ভিসার অভাবে সেখানে লোকজন যেতে না পারে তবে অন্য কোথাও যাবে এবং যাচ্ছেও। আমরা সেটাও সহায়তা করবো যে সমস্যা যাতে না হয়। বাংলাদেশের মানুষ যে যে কারণে ভারতে যেতো, সেটি যদি অন্য কোথাও সমাধান করা যায়, আমরা সেটিও চেষ্টা করবো। আমরা চাইবো, ভারত ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করুক এবং এটিতে তাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে এবং আমাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে। আমরা জানি যে কোলকাতার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, সম্প্রতি বিএমসটেক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়, দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস) হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আমি এটুকু বলবো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি বিমসটেকে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমার যেটা মনে হয়, একটি ইতিবাচক পরিবেশে সাক্ষাৎটা হয়েছে এবং দুইপক্ষ সম্পর্ক ভালো রাখার এবং করার ওপর জোর দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী উত্তেজনাকর বক্তব্য পরিহার করতে বরেছেন। আমরা নিজেরাও এই পয়েন্টে একমত। এটি আসলে একতরফাভাবে হচ্ছে, সেরকম নয়। হয়তো আমাদের কেউ কেউ বলছেন, যেটি তাদের না বলাই ভালো। একই কাজ ভারত থেকেও হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় প্রতিদিনই শক্ত শক্ত কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ কেউ এটা করেছেন। সম্পর্ক উন্নয়ন করতে গেলে বরং আপত্তিকর কথাবার্তা কোনও পক্ষ থেকে না বলাই ভালো। আমরা বিষয়টি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি।
নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা তারা সবসময় বলে। এই সরকার তো নিজের থেকে বলেছে যে যথাশীঘ্র সম্ভব তাদের দায়িত্ব শেষ করে, যেসব দায়িত্ব এই সরকারের ওপর আছে সেগুলো শেষ করে, যথাশীঘ্র সম্ভব নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, এটি এই সরকারের অঙ্গীকার। নির্বাচনের কথা প্রায়শই উচ্চারিত হয়। এমন কী যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই সেইসব দেশও জানতে চায়। একধরনের প্রেডিক্টিবিলিটি তারা চায়। এখানে বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে এবং তারা জানতে চাইতেই পারেন কি হবে বা কখন কোন সরকার আসবে।
ভারতের ভিসা জটিলতা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের ভিসা সম্পূর্ণ তাদের সার্বভৌম অধিকার। তারা যদি না দেয়, তবে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। ভিসা বিষয়টি তাদের নিজস্ব। এটি যদি না হয়, তবে যেটি হবে কোথাও শূন্যতা থাকে না। যদি ভিসার অভাবে সেখানে লোকজন যেতে না পারে তবে অন্য কোথাও যাবে এবং যাচ্ছেও। আমরা সেটাও সহায়তা করবো যে সমস্যা যাতে না হয়। বাংলাদেশের মানুষ যে যে কারণে ভারতে যেতো, সেটি যদি অন্য কোথাও সমাধান করা যায়, আমরা সেটিও চেষ্টা করবো। আমরা চাইবো, ভারত ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করুক এবং এটিতে তাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে এবং আমাদেরও স্বার্থ উদ্ধার হবে। আমরা জানি যে কোলকাতার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।