
অ্যান্টার্কটিকার সবসময় রহস্যে আচ্ছাদিত। পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম মহাদেশটির বরফের অভ্যন্তরে এমন অঞ্চল রয়েছে যেটি এতোদিন দৃশ্যমান ছিলোনা।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকা সার্ভে (বিএএস) এর বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অদেখা ভূদৃশ্যের সবচেয়ে বিস্তারিত মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। নতুন এই মানচিত্রটি বিডম্যাপ ৩ নামে পরিচিত, যা অ্যান্টার্কটিকার পৃষ্ঠতল, বরফের পুরুত্ব এবং সাবগ্লেসিয়াল টপোগ্রাফির বিশদ মানচিত্র প্রকাশ করে। এটিতে ব্যবহার করা হয় ৬০ বছর ধরে চলমান জরিপ তথ্য এবং এর ভূ-অবস্থান প্রকাশ করতে ২৭ মিলিয়ন ঘন কিলোমিটার বরফ সরিয়ে রাখা হয়।
বিডম্যাপ ৩ শুধুমাত্র বিএএস এর একটি প্রকল্প নয়, এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। এই তথ্য সমৃদ্ধ মানচিত্রটি অ্যান্টার্কটিকার ভূগোল এবং পরিবেশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ফলস্বরূপ, এবং এটি অ্যান্টার্কটিকা ক্য়াটোগ্রাফির ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্যাটেলাইট, বিমান, জাহাজ এবং এমনকি কুকুর দ্বারা টানা স্লেডের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা ৫০০ মিটার গ্রিড স্পেসিংয়ের সাহায্যে ৫২ মিলিয়ন ডেটা পয়েন্টকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিডম্যাপ ৩ পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা, দক্ষিণ মেরু, অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপ, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা উপকূল এবং ট্রান্সঅ্যান্টার্কটিক পর্বতমালার সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য উন্মোচন করেছে। উন্নত ইমেজিং প্রযুক্তি যেমন রাডার, সিসমিক রিফ্লেকশন এবং মাধ্যাকর্ষণ পরিমাপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশটির ভূদৃশ্যকে বরফের স্তর ছাড়াই দেখতে পাচ্ছেন।
বিডম্যাপ ৩ এর মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার অদেখা বিস্ময়গুলি প্রকাশিত হয়েছে, যেমন গভীর উপত্যকা এবং উঁচু পর্বত, যা আগে আচ্ছাদিত ছিল। বিজ্ঞানীদের জন্য এটি বরফ এবং সমুদ্রের সংযোগস্থলের গুরুত্বপূর্ণ রেখা প্রদর্শন করেছে, যা মহাদেশটির ভৌগলিক গঠন সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে।
গবেষণায় আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার হয়েছে, যেমন অ্যান্টার্কটিকার বরফ শীটের বিশাল বিস্তার, যা প্রায় ১৩.৬৩ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এর গড় পুরুত্ব ১,৯৪৮ মিটার। এই শীটের মধ্যে সবচেয়ে পুরু বরফের স্তরটি উইলকস ল্যান্ডের একটি অজ্ঞাত কানিয়নে পাওয়া গেছে, যার পুরুত্ব ৪,৭৫৭ মিটার। এমন বিশাল বরফ স্তরের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করে বিজ্ঞানীরা এখন বরফের গতি এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য সমুদ্র স্তরের বৃদ্ধির গতিপথের দিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক পাচ্ছেন। এই অত্যন্ত বিস্তারিত মানচিত্রটি তাদেরকে অ্যান্টার্কটিকার বরফের গতিবিধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে এবং পরবর্তীতে এর প্রভাবগুলো নিয়ে আরও নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে পারবে।
এই বিস্তারিত মানচিত্রটি বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক সরবরাহ করছে, যা বরফের গতিবিধি এবং ভবিষ্যতের সমুদ্রস্তরের উত্থানের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। বিডম্যাপ ৩ তুলনামূলকভাবে বিডম্যাপ ১ এবং বিডম্যাপ ২ এর চেয়ে অনেক উন্নত। অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া এবং সমুদ্রস্তরের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব এখন বিজ্ঞানীদের জন্যে অনেক সহায়ক হবে এবং তারা পূর্বের তুলনায় ভালো পূর্বাভাস দিতে পারবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকা সার্ভে (বিএএস) এর বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অদেখা ভূদৃশ্যের সবচেয়ে বিস্তারিত মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। নতুন এই মানচিত্রটি বিডম্যাপ ৩ নামে পরিচিত, যা অ্যান্টার্কটিকার পৃষ্ঠতল, বরফের পুরুত্ব এবং সাবগ্লেসিয়াল টপোগ্রাফির বিশদ মানচিত্র প্রকাশ করে। এটিতে ব্যবহার করা হয় ৬০ বছর ধরে চলমান জরিপ তথ্য এবং এর ভূ-অবস্থান প্রকাশ করতে ২৭ মিলিয়ন ঘন কিলোমিটার বরফ সরিয়ে রাখা হয়।
বিডম্যাপ ৩ শুধুমাত্র বিএএস এর একটি প্রকল্প নয়, এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। এই তথ্য সমৃদ্ধ মানচিত্রটি অ্যান্টার্কটিকার ভূগোল এবং পরিবেশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ফলস্বরূপ, এবং এটি অ্যান্টার্কটিকা ক্য়াটোগ্রাফির ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্যাটেলাইট, বিমান, জাহাজ এবং এমনকি কুকুর দ্বারা টানা স্লেডের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা ৫০০ মিটার গ্রিড স্পেসিংয়ের সাহায্যে ৫২ মিলিয়ন ডেটা পয়েন্টকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিডম্যাপ ৩ পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা, দক্ষিণ মেরু, অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপ, পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা উপকূল এবং ট্রান্সঅ্যান্টার্কটিক পর্বতমালার সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য উন্মোচন করেছে। উন্নত ইমেজিং প্রযুক্তি যেমন রাডার, সিসমিক রিফ্লেকশন এবং মাধ্যাকর্ষণ পরিমাপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশটির ভূদৃশ্যকে বরফের স্তর ছাড়াই দেখতে পাচ্ছেন।
বিডম্যাপ ৩ এর মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার অদেখা বিস্ময়গুলি প্রকাশিত হয়েছে, যেমন গভীর উপত্যকা এবং উঁচু পর্বত, যা আগে আচ্ছাদিত ছিল। বিজ্ঞানীদের জন্য এটি বরফ এবং সমুদ্রের সংযোগস্থলের গুরুত্বপূর্ণ রেখা প্রদর্শন করেছে, যা মহাদেশটির ভৌগলিক গঠন সম্পর্কে গভীর ধারণা প্রদান করে।
গবেষণায় আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার হয়েছে, যেমন অ্যান্টার্কটিকার বরফ শীটের বিশাল বিস্তার, যা প্রায় ১৩.৬৩ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এর গড় পুরুত্ব ১,৯৪৮ মিটার। এই শীটের মধ্যে সবচেয়ে পুরু বরফের স্তরটি উইলকস ল্যান্ডের একটি অজ্ঞাত কানিয়নে পাওয়া গেছে, যার পুরুত্ব ৪,৭৫৭ মিটার। এমন বিশাল বরফ স্তরের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করে বিজ্ঞানীরা এখন বরফের গতি এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য সমুদ্র স্তরের বৃদ্ধির গতিপথের দিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক পাচ্ছেন। এই অত্যন্ত বিস্তারিত মানচিত্রটি তাদেরকে অ্যান্টার্কটিকার বরফের গতিবিধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে এবং পরবর্তীতে এর প্রভাবগুলো নিয়ে আরও নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে পারবে।
এই বিস্তারিত মানচিত্রটি বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক সরবরাহ করছে, যা বরফের গতিবিধি এবং ভবিষ্যতের সমুদ্রস্তরের উত্থানের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক। বিডম্যাপ ৩ তুলনামূলকভাবে বিডম্যাপ ১ এবং বিডম্যাপ ২ এর চেয়ে অনেক উন্নত। অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া এবং সমুদ্রস্তরের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব এখন বিজ্ঞানীদের জন্যে অনেক সহায়ক হবে এবং তারা পূর্বের তুলনায় ভালো পূর্বাভাস দিতে পারবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস