
বরগুনায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার সপ্তাহখানেক পর এক বাবার (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বসতবাড়ির পেছনের ঝোপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা বলছেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৫ মার্চ মামলা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। একমাত্র আসামি শ্রীজিৎ জেলহাজতে। আসামির বন্ধু ও তার স্বজনরা বাদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে এক করুণ চিত্র। ওমর ফারুকের আলোচিত স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-
মেয়েকে ধর্ষণের ৬ দিন পর বাবা কে হত্যা! বরগুনায় গিয়েছিলাম, নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটির বয়স সব মিলে ১২ বছর হবে! হ্যাংলা পাতলা মেয়ে! গায়ে ওজন হতে পারে ৩০-৩২ কেজি!
তার ভাষ্য অনুযায়ী ধর্ষকের বাড়ির পেছনের এক ঝোপের মধ্যে হাত-পায়ে রশি বেঁধে তাকে আটকে রাখা হয়! এক রাতে ৩ বার ধর্ষন করা হয় শিশুটিকে! পরের দিক সকালে ধর্ষক নিজেই মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়!
এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে মামলার শুনানীর আগের রাতে তাকেও হত্যা করা হয়েছে!
ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রশ্ন করেছিল- ভাইয়া বাবার হত্যার বিচার চাইবো? নাকি আমার উপর হওয়া অমানবিক নির্যাতনের সেটা এখানো বুঝে উঠতে পারছিনা! আমার মায়ের কোলে দেড় মাসের একটা ছোট শিশু! আমিও ক্লাস সেভেনে পরি! বড় কোন ভাই নেই! কিভাবে আমার সংসার চলবে এটা জানিনা! বিচার চাইবো নাকি খেয়ে পরে বেঁচে থাকবো সেই নিশ্চয়তাও পাচ্ছিনা!
আমি কোন উত্তর না দিয়ে ওর ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিয়ে ওরে ঘরের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি! কেননা ওর প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে ছিল না!
আপনাদের কাছে কি আছে ওর প্রশ্নের উত্তর??
নিহত ব্যক্তি বরগুনা পৌর বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৪ মার্চ রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন তাঁর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। পরদিন সকালে বরগুনা ডিসি পার্ক এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই শ্রীজিৎকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, তিনি মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানান, বিক্রির জন্য গাড়িতে আসা মুরগি দোকানে নামিয়ে তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। এর পর নির্ধারিত সময়ে না ফিরলে তাঁর ফোনে কল করেন স্ত্রী। এ সময় তিনি কল রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনের আওয়াজ শুনে তাঁর স্ত্রী বাড়ির পেছনে যান। এ সময় ঝোপের ভেতর কাদামাখা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি স্বজনদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে এক করুণ চিত্র। ওমর ফারুকের আলোচিত স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-
মেয়েকে ধর্ষণের ৬ দিন পর বাবা কে হত্যা! বরগুনায় গিয়েছিলাম, নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুটির বয়স সব মিলে ১২ বছর হবে! হ্যাংলা পাতলা মেয়ে! গায়ে ওজন হতে পারে ৩০-৩২ কেজি!
তার ভাষ্য অনুযায়ী ধর্ষকের বাড়ির পেছনের এক ঝোপের মধ্যে হাত-পায়ে রশি বেঁধে তাকে আটকে রাখা হয়! এক রাতে ৩ বার ধর্ষন করা হয় শিশুটিকে! পরের দিক সকালে ধর্ষক নিজেই মেয়েটিকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়!
এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে মামলার শুনানীর আগের রাতে তাকেও হত্যা করা হয়েছে!
ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রশ্ন করেছিল- ভাইয়া বাবার হত্যার বিচার চাইবো? নাকি আমার উপর হওয়া অমানবিক নির্যাতনের সেটা এখানো বুঝে উঠতে পারছিনা! আমার মায়ের কোলে দেড় মাসের একটা ছোট শিশু! আমিও ক্লাস সেভেনে পরি! বড় কোন ভাই নেই! কিভাবে আমার সংসার চলবে এটা জানিনা! বিচার চাইবো নাকি খেয়ে পরে বেঁচে থাকবো সেই নিশ্চয়তাও পাচ্ছিনা!
আমি কোন উত্তর না দিয়ে ওর ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিয়ে ওরে ঘরের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি! কেননা ওর প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে ছিল না!
আপনাদের কাছে কি আছে ওর প্রশ্নের উত্তর??
নিহত ব্যক্তি বরগুনা পৌর বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৪ মার্চ রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন তাঁর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে। পরদিন সকালে বরগুনা ডিসি পার্ক এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই শ্রীজিৎকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, তিনি মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানান, বিক্রির জন্য গাড়িতে আসা মুরগি দোকানে নামিয়ে তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। এর পর নির্ধারিত সময়ে না ফিরলে তাঁর ফোনে কল করেন স্ত্রী। এ সময় তিনি কল রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনের আওয়াজ শুনে তাঁর স্ত্রী বাড়ির পেছনে যান। এ সময় ঝোপের ভেতর কাদামাখা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি স্বজনদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।