
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষে করনীয় নির্ধারনে স্থানীয় জনগণ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) এর সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ডক্টর মো. সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকার বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ মো. মদিনুল আহসান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস আলী দেওয়ান, শেরপুরের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী ও নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জানান, শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে শতাধিক বন্যহাতি তান্ডব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। তাই মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসন করে সহাবস্থানের লক্ষে করনীয় সম্পর্কে স্থানীয় অধিবাসীদের আরো সচেতন হতে হবে। অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ও জানমাল বাঁচাতে বন্যহাতির উপদ্রব এলাকায় মানুষ এবং ফসলের ক্ষতি কমাতে সোলার ফ্যান্সিং স্থাপন, হাতির খাদ্যের জন্য কলাগাছ রোপন ও বাঁশঝাড় লাগানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় বিগত ২০০১ সাল থেকে একদল বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে এলাকার মানুষের ফসল, গাছের কাঁঠাল, সবজি ক্ষেত ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। প্রায় দুই যুগ ধরে জানমালের এমন ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও বন্যহাতির অত্যাচার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি আজও।
- পুলক রায়, নালিতাবাড়ী, শেরপুর সংবাদদাতা
এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ডক্টর মো. সাইফুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকার বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী, অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ মো. মদিনুল আহসান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস আলী দেওয়ান, শেরপুরের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী ও নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জানান, শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে শতাধিক বন্যহাতি তান্ডব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। তাই মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসন করে সহাবস্থানের লক্ষে করনীয় সম্পর্কে স্থানীয় অধিবাসীদের আরো সচেতন হতে হবে। অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ও জানমাল বাঁচাতে বন্যহাতির উপদ্রব এলাকায় মানুষ এবং ফসলের ক্ষতি কমাতে সোলার ফ্যান্সিং স্থাপন, হাতির খাদ্যের জন্য কলাগাছ রোপন ও বাঁশঝাড় লাগানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একইসাথে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় বিগত ২০০১ সাল থেকে একদল বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে এলাকার মানুষের ফসল, গাছের কাঁঠাল, সবজি ক্ষেত ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। প্রায় দুই যুগ ধরে জানমালের এমন ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও বন্যহাতির অত্যাচার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি আজও।
- পুলক রায়, নালিতাবাড়ী, শেরপুর সংবাদদাতা