স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে সেফ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আটককৃত সমন্বয়কদের মধ্যে একজন তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমি আত্মগোপন করলাম, আপনারা আমি কোথায় আছি, জানাবেন না।’ এ ধরনের খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে পেয়ে আমরা তাঁদের সেফ কাস্টডিতে নিয়েছি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাচ্ছি, কারা তাঁদের আক্রমণ করতে চাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে পুড়িয়ে দেওয়া হাজী ইব্রাহিম খলিল শপিং কমপ্লেক্স, পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিসসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।"
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ৯৮ শতাংশ মেধাতালিকার অধীনে এনেছি। আমরা আশা করেছিলাম, আপিল বিভাগের রায়কে ছাত্ররা স্বাগত জানাবে এবং কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখলাম, তাঁরা সেই কাজটি করেননি। তাঁদের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করেছে যে, তাঁরা জামায়াত, বিএনপি এবং জঙ্গিদের হাতের ক্রীড়ানক হয়ে গিয়েছে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি মহল গুজব প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশবাসীকে এই বিভ্রান্তি ও গুজব থেকে রক্ষা করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানাই।” তিনি বলেন, “এই সংঘবদ্ধ আক্রমণ জামায়াত-বিএনপি এবং জঙ্গিদেরই কাজ। আমরা প্রমাণও পাচ্ছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "অনেক ছোট ছোট ছেলেদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।"