
রমজান মাসে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তটি অত্যন্ত বরকতময় ও দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ইফতারের আগে ও পরে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া পড়তেন এবং সাহাবাদেরও তা শেখাতেন। হাদিস শরিফে ইফতারের আগে দোয়া করার বিশেষ গুরুত্ব এসেছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়, এবং মজলুমের দোয়া।’
(তিরমিজি, হাদিস: ২৫২৫)
রাসুল (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন
১. সাধারণ দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমান্তু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি শুধু তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিকে ইফতার করছি।
(আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৮)
২. বিশেষ দোয়া: রাসুল (সা.) ইফতারের সময় আরও এই দোয়াটি পড়তেন—
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণ: যাহাবাজ জামা'উ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা দূর হলো, শিরাগুলো সিক্ত হলো এবং ইনশাআল্লাহ, সওয়াব স্থির হলো। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৭; দারাকুতনি, হাদিস: ২৫)
৩. আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনার দোয়া: রাসুল (সা.) আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে দোয়া করতেন—
اللَّهُمَّ أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসআলুকা বি রাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাই'ইন আন তাকফিরালি।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার সেই অসীম দয়ার বরকতে, যা সবকিছুকে আচ্ছাদিত করেছে, আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫৩)
ইফতারের সময় দোয়া কবুলের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি দোয়া থাকে, যা কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২)
ইফতারের পূর্বমুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত লাভের বড় সুযোগ পাওয়া যায়। তাই আমাদের উচিত ইফতারের সময় রাসুল (সা.) এর শেখানো দোয়াগুলো পড়া এবং নিজের প্রয়োজনীয় দোয়াগুলো করা, যেন আমরা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ করতে পারি।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়, এবং মজলুমের দোয়া।’
(তিরমিজি, হাদিস: ২৫২৫)
রাসুল (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন
১. সাধারণ দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমান্তু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি শুধু তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিকে ইফতার করছি।
(আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৮)
২. বিশেষ দোয়া: রাসুল (সা.) ইফতারের সময় আরও এই দোয়াটি পড়তেন—
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণ: যাহাবাজ জামা'উ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা দূর হলো, শিরাগুলো সিক্ত হলো এবং ইনশাআল্লাহ, সওয়াব স্থির হলো। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৭; দারাকুতনি, হাদিস: ২৫)
৩. আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনার দোয়া: রাসুল (সা.) আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে দোয়া করতেন—
اللَّهُمَّ أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আসআলুকা বি রাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাই'ইন আন তাকফিরালি।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার সেই অসীম দয়ার বরকতে, যা সবকিছুকে আচ্ছাদিত করেছে, আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫৩)
ইফতারের সময় দোয়া কবুলের গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি দোয়া থাকে, যা কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’
(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২)
ইফতারের পূর্বমুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত লাভের বড় সুযোগ পাওয়া যায়। তাই আমাদের উচিত ইফতারের সময় রাসুল (সা.) এর শেখানো দোয়াগুলো পড়া এবং নিজের প্রয়োজনীয় দোয়াগুলো করা, যেন আমরা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভ করতে পারি।