
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল। রক্তক্ষরণ আর নৃশংসতার দিন। একটি আধা সামরিক বাহিনীর কলঙ্কের দিন। কিছু বিপথগামী সদস্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি হয় একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর আজ। এবার এই দিনটিকে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার প্রথম ধাপ ছিল এটি। এই হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ৪৯ দিনের মাথায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হয় ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। নিহত হন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, কর্নেল গুলজারসহ ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা।
এ হত্যাকাণ্ডের পর পিলখানার সিসিটিভি ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংসের অভিযোগ ওঠে। এমনকি সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটি ও জাতীয় কমিটির তদন্তও অসম্পূর্ণ রাখার আভিযোগ আছে। সেনাবাহিনীকে দুর্বল ও বিডিআর নামে যাতে শক্তিশালী বাহিনী না থাকে–মূলত এ লক্ষ্যেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এই নীল নকশা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
এ ছাড়া গত ১৬ বছরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্যই লুকানোর চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে এর বিচারিক প্রক্রিয়া হতাশার জন্ম দিয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল বলেন, ‘এরকম কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কখনো ঘটেনি। এটা যখন সংগঠিত হলো, এরপর আমরা বিচারিকসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখতে পেয়েছি। সেখানে আসলে অনেক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এখন আমরা বিশ্বস্ত ও বিভিন্ন সূত্রে অনেক তথ্যই পাচ্ছি। এসব তথ্য গত ১৫-১৬ বছর পাওয়া যায়নি।’
এ হত্যাকাণ্ডকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রথম অধ্যায় বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ রহমান বলেন, ‘ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার এটি প্রথম ধাপ। এই ধাপের পরবর্তীতে তারা দুটি বাহিনীকে বিপর্যস্ত রেখে ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে। একটি বাহিনীকে স্থগিত রেখে আপনি দুটো বাহিনীকে অগ্রাহ্য করে রাখলেন।’
শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী জানান, অনেক প্রশ্ন ছিলো। সেগুলোর উত্তর এখনও জানা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পেরেছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশে বিদেশে যাদেরই পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যত দিন যাবে এই মামলার প্রমাণোগুলো হারিয়ে যেতে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ লে.কর্নেল রুবি রহমানের ছেলে ডা. কাজী অদ্রি জানান, আমরা ভারতের সংশ্লিষ্টতার কথা আলোচনা করি। তবে তার মানে এই নয় যে ভেতরে যেসব জাওয়ানরা ছিলো তারা নির্দোষ। আমরা সবসময়ই বুঝতে পেরেছিলাম যে বিগত সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়া যাচ্ছিল না।
পিলখানার নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন ১৮৫ জনের আর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ২২৮ জনের। হাইকোর্টের রায়ের পর প্রায় আট বছরে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলাটি প্রায় এক যুগ ধরে ঝুলে আছে। সম্প্রতি মুক্তিও পেয়েছেন ১৭৮ জন।
তবে এই বিলম্বের জন্য বিগত সময়ের প্রসিকিউশনকে দায়ী করেছেন মামলার নতুন চিফ প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরও বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো কিছু মহল বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেননতুন প্রসিকিউশন টিম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার প্রথম ধাপ ছিল এটি। এই হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ৪৯ দিনের মাথায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হয় ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। নিহত হন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, কর্নেল গুলজারসহ ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা।
এ হত্যাকাণ্ডের পর পিলখানার সিসিটিভি ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংসের অভিযোগ ওঠে। এমনকি সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটি ও জাতীয় কমিটির তদন্তও অসম্পূর্ণ রাখার আভিযোগ আছে। সেনাবাহিনীকে দুর্বল ও বিডিআর নামে যাতে শক্তিশালী বাহিনী না থাকে–মূলত এ লক্ষ্যেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এই নীল নকশা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
এ ছাড়া গত ১৬ বছরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্যই লুকানোর চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে এর বিচারিক প্রক্রিয়া হতাশার জন্ম দিয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল বলেন, ‘এরকম কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কখনো ঘটেনি। এটা যখন সংগঠিত হলো, এরপর আমরা বিচারিকসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখতে পেয়েছি। সেখানে আসলে অনেক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এখন আমরা বিশ্বস্ত ও বিভিন্ন সূত্রে অনেক তথ্যই পাচ্ছি। এসব তথ্য গত ১৫-১৬ বছর পাওয়া যায়নি।’
এ হত্যাকাণ্ডকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রথম অধ্যায় বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ রহমান বলেন, ‘ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার এটি প্রথম ধাপ। এই ধাপের পরবর্তীতে তারা দুটি বাহিনীকে বিপর্যস্ত রেখে ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে। একটি বাহিনীকে স্থগিত রেখে আপনি দুটো বাহিনীকে অগ্রাহ্য করে রাখলেন।’
শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী জানান, অনেক প্রশ্ন ছিলো। সেগুলোর উত্তর এখনও জানা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পেরেছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশে বিদেশে যাদেরই পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যত দিন যাবে এই মামলার প্রমাণোগুলো হারিয়ে যেতে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ লে.কর্নেল রুবি রহমানের ছেলে ডা. কাজী অদ্রি জানান, আমরা ভারতের সংশ্লিষ্টতার কথা আলোচনা করি। তবে তার মানে এই নয় যে ভেতরে যেসব জাওয়ানরা ছিলো তারা নির্দোষ। আমরা সবসময়ই বুঝতে পেরেছিলাম যে বিগত সরকারের সরাসরি সম্পৃক্ততার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়া যাচ্ছিল না।
পিলখানার নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন ১৮৫ জনের আর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ২২৮ জনের। হাইকোর্টের রায়ের পর প্রায় আট বছরে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলাটি প্রায় এক যুগ ধরে ঝুলে আছে। সম্প্রতি মুক্তিও পেয়েছেন ১৭৮ জন।
তবে এই বিলম্বের জন্য বিগত সময়ের প্রসিকিউশনকে দায়ী করেছেন মামলার নতুন চিফ প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরও বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো কিছু মহল বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেননতুন প্রসিকিউশন টিম।