আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মতে, কর্ম নিশ্চিত ও অভূতপূর্ব পরিবর্তনের এই সময়ে শীর্ষস্তরের সামাজিক সংলাপ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
প্রতিবেদনে গুরুত্বারোপ করেছে, কীভাবে সামাজিক সংলাপ দেশগুলোকে ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নিম্ন-কার্বন এবং ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করার মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সক্ষম করতে পারে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্য পিক-লেভেল সোশ্যাল ডায়ালগ, ‘পিক-লেভেল সোশ্যাল ডায়ালগ’ (পিএলএসডি)-কে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে। পিএলএসডি বলতে বোঝায় প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলোর একটি সেট যেখানে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি আলোচনা করে, প্রত্যেকের সাথে পরামর্শ করে এবং শ্রম, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় এবং সেক্টরাল পর্যায়ে তথ্য বিনিময় করে।
প্রতিবেদনটি দেখায় যে পিএলএসডি শোভন কাজ, ন্যায্য শ্রম আয় বণ্টন এবং ন্যায় ডিজিটাল ও পরিবেশবান্ধব পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, আইনের সম্মান এবং সংগঠনের স্বাধীনতার অনুশীলন এবং সম্মিলিত বার্গেনিং এর অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতি এই প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য। কিন্তু আর্থ-সামাজিক নীতিগুলো যখন স্বল্পমেয়াদি বিবেচনার দ্বারা চালিত হয় এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে বাদ দেয় তখন পরিবর্তন আনয়নে পিএলএসডির ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
‘সামাজিক সংলাপ প্রতিবেদনের এই সংস্করণটি অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবে একটি অস্থিতিশীল সময়ে প্রকাশিত হয়েছে,’ বলেছেন ম্যানুয়েলা টোমেই, আইএলও-এর গভর্নেন্স, রাইটস অ্যান্ড ডায়ালগের সহকারী মহাপরিচালক৷ ‘এমন একটি প্রেক্ষাপট যেখানে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলো শ্রমবাজারকে গভীরভাবে রূপান্তরিত করছে, সেখানে ন্যায্য সমাধান শনাক্তকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের অগ্রগতির জন্য সামাজিক সংলাপ একটি বিশ্বাসযোগ্য সুশাসন মডেল হিসাবে বিবেচিত হয়।’
প্রতিবেদনে ৩৮টি দেশের ৭১টি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ওপর পরিচালিত একটি পারসেপশন সার্ভের পাশাপাশি কেস স্টাডি, শিল্প সম্পর্কের তথ্য, পিএলএসডি প্রক্রিয়া এবং ফলাফলের একটি বিশ্বব্যাপী পর্যালোচনা করেছে। সার্ভেতে দেশগুলোর ন্যাশনাল সোশ্যাল ডায়ালগ ইনস্টিটিউশন (এনএসডিআই) এর কার্যকারিতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আচরণ বিষয়ে সংগঠনগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনে।
প্রতিবেদনে কার্যকর পিএলএসডির জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বশর্তগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশগুলোতে সংঘবদ্ধতার স্বাধীনতা এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতির ৭ শতাংশ অবনতি হয়েছে। এই পতনের মূলে রয়েছে মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতা এবং মালিক, শ্রমিকদের প্রতিনিধি সংগঠনগুলোর মধ্যকার বার্গেইনিং অধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পাওয়া।
‘যে দেশগুলো এই মৌলিক শ্রম অধিকারগুলোকে সমর্থন করে তারা পিএলএসডির রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে ব্যবহার করার জন্য আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে, যা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক শাসন উভয়কেই শক্তিশালী করে,’ টমেই জোর দিয়ে বলেন।
জাতীয় সামাজিক সংলাপ সংস্থাগুলোর উপস্থিতি ব্যাপক এবং প্রাসঙ্গিক কিন্তু হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে আইএলও সদস্য রাষ্ট্রগুলির ৮৭ শতাংশে এই প্রতিষ্ঠানগুলো উপস্থিত রয়েছে। তিন-চতুর্থাংশ কর্মী এবং দুই-তৃতীয়াংশ মালিক এগুলোকে কার্যকর হিসাবে দেখেন, তবে এই প্রতিবেদনের জন্য পরিচালিত জরিপে দেখা যায় সামাজিক সংলাপের ফলাফলের উপর সরকার বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অপর্যাপ্ত ফলোআপ নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্তির বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে অংশগ্রহণকারী শ্রমিক এবং নারী, যুবগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে।
নীতিনির্ধারণে সামাজিক অংশীদারদের বৃহত্তর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন
অনেক দেশে কর্মসংস্থান নীতি বা সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার নকশা এবং পরিচালনায় মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনের জড়িত থাকার গুরুত্ব স্বীকৃত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ৩০ শতাংশেরও বেশি সরকারি কর্মসংস্থান পরিষেবাগুলোতে তাদের ব্যবস্থাপনা বোর্ডে মালিক এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকছে, যেখানে ২৫ শতাংশ জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিগুলো ত্রিপক্ষীয় আলোচনাকে একটি মূল প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিবেচনা করে।
আইএলও-এর ১৮৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় ৮০ শতাংশ শীর্ষস্তরের ত্রিপক্ষীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠা করেছ। পাশাপাশি, ৬৫টি দেশে সামাজিক সুরক্ষা সংস্কারগুলি পেনশন, স্বাস্থ্য এবং কর্মচারী সুবিধাগুলোর কাভারেজকে প্রসারিত করেছে, সামাজিক অংশীদারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে।
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী পিএলএসডি প্রতিষ্ঠান
প্রতিবেদনে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে যেন জীবনযাত্রার ব্যয়-সঙ্কট মোকাবিলা করতে এবং মজুরি সমতার প্রচারে সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণ এবং সেক্টরাল কালেকটিভ বার্গেইনিং করা হয়। এটি জোর দেয় যে যেখানে সামাজিক অংশীদারদের সাথে আলোচনা করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কালেকটিভ বার্গেইনিং এর মাধ্যমে নির্ধারিত সেক্টরাল ন্যূনতম মজুরির সাথে সহাবস্থান করে, সেখানে পিএলএসডি উচ্চ শ্রম আয়ের বৈষম্য মোকাবিলায় আরও কার্যকর।
ন্যায়সঙ্গত ডিজিটাল এবং সবুজ রূপান্তরের জন্য পিএলএসডিকে উৎসাহিত করা
প্রমাণগুলো দেখায় যে পিএলএসডি ডিজিটাল রূপান্তর এবং ডিকার্বনাইজেশন নীতিগুলোর ওপর সামাজিক ঐকমত্যকে উৎসাহিত করে। তবুও, এই যুগল রূপান্তরটি পরিচালনা করার জন্য যেসব দেশে পিএলএসডির ওপর নির্ভরতা সুপ্রতিষ্ঠিত এবং যেখানে ডিজিটাল প্রবেশ বেশি সেখানে অধিক কার্যকরী।
২০২২-২৩ সালে ১১৮টি সামাজিক সংলাপ প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা দেখায় যে, যে সকল দেশ প্রায় এক চতুর্থাংশ যুগ্ম রূপান্তর-সম্পর্কিত থিমগুলিকে বাস্তবায়ন করেছে তার বেশিরভাগ ইউরোপে। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং কাঠামোগত রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজন্মের শিল্প নীতি এবং যা যুগ্ম রূপান্তরের চারপাশে কেন্দ্রীভূত, তা এই পরিবর্তনে আনতে পিএলএসডির ভূমিকা অগ্রসর করার একটি সময়োপযোগী সুযোগ উপস্থাপন করে।
পিএলএসডির শক্তি উন্মোচনের জন্য পদক্ষেপের আহ্বান
পিএলএসডির অন্তর্ভুক্তি এবং কার্যকারিতা সম্পূর্ণরূপে উন্মোচন করতে প্রতিবেদনটি দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে:
• কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতি ও অধিকার, বিশেষ করে সংগঠনের স্বাধীনতা এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতি সমুন্নত রাখা।
• পিএলএসডিতে কার্যকর অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতা দিয়ে শ্রম প্রশাসন এবং সামাজিক অংশীদারদের ক্ষমতায়ন করা।
• এনএসডিআই এবং সামাজিক অংশীদারদের আউটরিচ কম প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীর কাছে প্রসারিত করা।
• আর্থ-সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিএলএসডি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এবং প্রভাবের নিয়মিত, প্রমাণ-ভিত্তিক মূল্যায়ন পরিচালনা করা।
প্রতিবেদনে গুরুত্বারোপ করেছে, কীভাবে সামাজিক সংলাপ দেশগুলোকে ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নিম্ন-কার্বন এবং ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করার মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সক্ষম করতে পারে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির জন্য পিক-লেভেল সোশ্যাল ডায়ালগ, ‘পিক-লেভেল সোশ্যাল ডায়ালগ’ (পিএলএসডি)-কে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে। পিএলএসডি বলতে বোঝায় প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলোর একটি সেট যেখানে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি আলোচনা করে, প্রত্যেকের সাথে পরামর্শ করে এবং শ্রম, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় এবং সেক্টরাল পর্যায়ে তথ্য বিনিময় করে।
প্রতিবেদনটি দেখায় যে পিএলএসডি শোভন কাজ, ন্যায্য শ্রম আয় বণ্টন এবং ন্যায় ডিজিটাল ও পরিবেশবান্ধব পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে। প্রতিবেদনটি আরও জানায়, আইনের সম্মান এবং সংগঠনের স্বাধীনতার অনুশীলন এবং সম্মিলিত বার্গেনিং এর অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতি এই প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য। কিন্তু আর্থ-সামাজিক নীতিগুলো যখন স্বল্পমেয়াদি বিবেচনার দ্বারা চালিত হয় এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে বাদ দেয় তখন পরিবর্তন আনয়নে পিএলএসডির ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
‘সামাজিক সংলাপ প্রতিবেদনের এই সংস্করণটি অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিকভাবে একটি অস্থিতিশীল সময়ে প্রকাশিত হয়েছে,’ বলেছেন ম্যানুয়েলা টোমেই, আইএলও-এর গভর্নেন্স, রাইটস অ্যান্ড ডায়ালগের সহকারী মহাপরিচালক৷ ‘এমন একটি প্রেক্ষাপট যেখানে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলো শ্রমবাজারকে গভীরভাবে রূপান্তরিত করছে, সেখানে ন্যায্য সমাধান শনাক্তকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের অগ্রগতির জন্য সামাজিক সংলাপ একটি বিশ্বাসযোগ্য সুশাসন মডেল হিসাবে বিবেচিত হয়।’
প্রতিবেদনে ৩৮টি দেশের ৭১টি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ওপর পরিচালিত একটি পারসেপশন সার্ভের পাশাপাশি কেস স্টাডি, শিল্প সম্পর্কের তথ্য, পিএলএসডি প্রক্রিয়া এবং ফলাফলের একটি বিশ্বব্যাপী পর্যালোচনা করেছে। সার্ভেতে দেশগুলোর ন্যাশনাল সোশ্যাল ডায়ালগ ইনস্টিটিউশন (এনএসডিআই) এর কার্যকারিতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আচরণ বিষয়ে সংগঠনগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে আনে।
প্রতিবেদনে কার্যকর পিএলএসডির জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বশর্তগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশগুলোতে সংঘবদ্ধতার স্বাধীনতা এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতির ৭ শতাংশ অবনতি হয়েছে। এই পতনের মূলে রয়েছে মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতা এবং মালিক, শ্রমিকদের প্রতিনিধি সংগঠনগুলোর মধ্যকার বার্গেইনিং অধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পাওয়া।
‘যে দেশগুলো এই মৌলিক শ্রম অধিকারগুলোকে সমর্থন করে তারা পিএলএসডির রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে ব্যবহার করার জন্য আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে, যা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক শাসন উভয়কেই শক্তিশালী করে,’ টমেই জোর দিয়ে বলেন।
জাতীয় সামাজিক সংলাপ সংস্থাগুলোর উপস্থিতি ব্যাপক এবং প্রাসঙ্গিক কিন্তু হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে আইএলও সদস্য রাষ্ট্রগুলির ৮৭ শতাংশে এই প্রতিষ্ঠানগুলো উপস্থিত রয়েছে। তিন-চতুর্থাংশ কর্মী এবং দুই-তৃতীয়াংশ মালিক এগুলোকে কার্যকর হিসাবে দেখেন, তবে এই প্রতিবেদনের জন্য পরিচালিত জরিপে দেখা যায় সামাজিক সংলাপের ফলাফলের উপর সরকার বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অপর্যাপ্ত ফলোআপ নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্তির বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে অংশগ্রহণকারী শ্রমিক এবং নারী, যুবগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে।
নীতিনির্ধারণে সামাজিক অংশীদারদের বৃহত্তর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন
অনেক দেশে কর্মসংস্থান নীতি বা সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার নকশা এবং পরিচালনায় মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনের জড়িত থাকার গুরুত্ব স্বীকৃত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ৩০ শতাংশেরও বেশি সরকারি কর্মসংস্থান পরিষেবাগুলোতে তাদের ব্যবস্থাপনা বোর্ডে মালিক এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকছে, যেখানে ২৫ শতাংশ জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিগুলো ত্রিপক্ষীয় আলোচনাকে একটি মূল প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিবেচনা করে।
আইএলও-এর ১৮৭টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় ৮০ শতাংশ শীর্ষস্তরের ত্রিপক্ষীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠা করেছ। পাশাপাশি, ৬৫টি দেশে সামাজিক সুরক্ষা সংস্কারগুলি পেনশন, স্বাস্থ্য এবং কর্মচারী সুবিধাগুলোর কাভারেজকে প্রসারিত করেছে, সামাজিক অংশীদারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে।
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী পিএলএসডি প্রতিষ্ঠান
প্রতিবেদনে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে যেন জীবনযাত্রার ব্যয়-সঙ্কট মোকাবিলা করতে এবং মজুরি সমতার প্রচারে সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণ এবং সেক্টরাল কালেকটিভ বার্গেইনিং করা হয়। এটি জোর দেয় যে যেখানে সামাজিক অংশীদারদের সাথে আলোচনা করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কালেকটিভ বার্গেইনিং এর মাধ্যমে নির্ধারিত সেক্টরাল ন্যূনতম মজুরির সাথে সহাবস্থান করে, সেখানে পিএলএসডি উচ্চ শ্রম আয়ের বৈষম্য মোকাবিলায় আরও কার্যকর।
ন্যায়সঙ্গত ডিজিটাল এবং সবুজ রূপান্তরের জন্য পিএলএসডিকে উৎসাহিত করা
প্রমাণগুলো দেখায় যে পিএলএসডি ডিজিটাল রূপান্তর এবং ডিকার্বনাইজেশন নীতিগুলোর ওপর সামাজিক ঐকমত্যকে উৎসাহিত করে। তবুও, এই যুগল রূপান্তরটি পরিচালনা করার জন্য যেসব দেশে পিএলএসডির ওপর নির্ভরতা সুপ্রতিষ্ঠিত এবং যেখানে ডিজিটাল প্রবেশ বেশি সেখানে অধিক কার্যকরী।
২০২২-২৩ সালে ১১৮টি সামাজিক সংলাপ প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা দেখায় যে, যে সকল দেশ প্রায় এক চতুর্থাংশ যুগ্ম রূপান্তর-সম্পর্কিত থিমগুলিকে বাস্তবায়ন করেছে তার বেশিরভাগ ইউরোপে। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং কাঠামোগত রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজন্মের শিল্প নীতি এবং যা যুগ্ম রূপান্তরের চারপাশে কেন্দ্রীভূত, তা এই পরিবর্তনে আনতে পিএলএসডির ভূমিকা অগ্রসর করার একটি সময়োপযোগী সুযোগ উপস্থাপন করে।
পিএলএসডির শক্তি উন্মোচনের জন্য পদক্ষেপের আহ্বান
পিএলএসডির অন্তর্ভুক্তি এবং কার্যকারিতা সম্পূর্ণরূপে উন্মোচন করতে প্রতিবেদনটি দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে:
• কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতি ও অধিকার, বিশেষ করে সংগঠনের স্বাধীনতা এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং অধিকারের কার্যকর স্বীকৃতি সমুন্নত রাখা।
• পিএলএসডিতে কার্যকর অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং প্রযুক্তিগত ক্ষমতা দিয়ে শ্রম প্রশাসন এবং সামাজিক অংশীদারদের ক্ষমতায়ন করা।
• এনএসডিআই এবং সামাজিক অংশীদারদের আউটরিচ কম প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীর কাছে প্রসারিত করা।
• আর্থ-সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিএলএসডি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এবং প্রভাবের নিয়মিত, প্রমাণ-ভিত্তিক মূল্যায়ন পরিচালনা করা।