কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতাবিরোধী স্লোগানের নিন্দা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সম্পাদক শাহ মুঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী স্লোগান দেওয়া লজ্জাজনক।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, কোটাবিরোধীরা এখন রাজাকার হিসেবেই আন্দোলনটি চালিয়ে নিতে চান। প্রভাবিত হয়ে তারা আন্দোলনটি করছেন। অশুভ শক্তি সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী স্লোগানের পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যারা তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কোটাপ্রথা বাতিলের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ও এরই মধ্যে হস্তগত হয়েছে। জেলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য কোটার হার কী হবে- তা নির্ধারণ করবে সরকার, অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ, যা এ রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগে সিএমপি দায়ের করা হয়। শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টির ওপর স্থিতি অবস্থা জারি করেছেন। আগামী ৭ আগস্ট বিষয়টি আবার শুনানির জন্য থাকবে।
এই আইনজীবী বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের দাবি অবাস্তব। এটি নিয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই, প্রজ্ঞাপন দিলেই যথেষ্ট বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক। তিনি বলেন, এ দাবি অসাংবিধানিক। এটি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শাহ মঞ্জুরুল হক আরও বলেন, চীন সফরকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য কেন্দ্র করে কোটা নিয়ে আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী স্লোগান দেওয়া লজ্জাস্কর। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রমজান আলী শিকদার, সহ-সভাপতি ড. দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন (সেতু), কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নূরুল হুদা আনছারী, সিনিয়র সহ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি উপস্থিত ছিলেন।