ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এখন পর্যন্ত তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বোর্ড সভার কোনোটিতেই ছিলেন না শেখ সোহেল আর ইসমাইল হায়দার মল্লিক। ধরে নেওয়া হচ্ছে, টানা তিনটি বোর্ডসভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে দুজনই বিসিবির পরিচালক পদ হারাবেন।
বিধি অনুসারে, সোহেল ও মল্লিকের জায়গায় নতুন পরিচালক নিয়োগ পাবেন। একইসঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান ও মেম্বার সেক্রেটারি নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কারা আসবেন, তা নিয়েও আছে গুঞ্জন।
আজ সোমবার বোর্ডসভা ডেকেছে বিসিবি। বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই সভায় হয়তো বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে।
বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে কাদের পরিচালক পদ থাকবে, আর কাদের থাকবে না- সেটি নির্ধারিত হতে পারে আজ। পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটিও গঠন হতে পারে। কারণ, ক্রিকেট অপারেশন্স, গেম ডেভোলপমেন্ট, মিডিয়া, টুর্নামেন্ট কমিটি, বিপিএল, ফিন্যান্স কমিটি প্রধানের পদে এখন কেউ নেই।
ক্রিকেট অপারেশনের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, গেম ডেভোলপমেন্ট প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি এবং এইচপি প্রধান নাইমুর রহমান দুর্জয় পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে বিপিএলের কমিটিপ্রধান শেখ সোহেল ও মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান তানভির আহমেদ টিটু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাদের বদলে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ একান্তই দরকার। দেখা যাক, কাদেরকে দেওয়া হয় এসব সব গুরুত্বপূর্ণ পদ।
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে দেখা যাবে, মাত্র ৭ দিন পরই শুরু হবে বিপিএল ২০২৫ সালের আসরের কার্যত্রম। কিন্তু এখনো নেই গভর্নিং কাউন্সিল। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মেম্বার সেক্রেটারি নিয়োগ দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান নিয়ে দুই রকম কথা শোনা যাচ্ছে। এক পক্ষ বলছেন ফাহিম সিনহার নাম। বলে রাখা ভালো, ফাহিমের বাবা আফজালুর রহমান সিনহাও ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। কাজেই প্রয়াত পিতার পদে ফাহিম সিনহাকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এদিকে দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে সময়। ১৪ অক্টোবর বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। যে কারণে সবকিছু বেশ তড়িঘড়ি করেই করতে হবে বিসিবিকে।