গাজায় সংঘাতের এক বছরে প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় হামাসের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে গত বছর হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিকদের অবিলম্বে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে পালানোর নির্দেশ দেওয়ার পরেই সেখানে ভারী বোমাবর্ষণ শুরু হয়। এতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে নয়জনই শিশু।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গত এক বছর ধরে গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে দখলদাররা। গাজায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৭ হাজার ১৬৬ জন।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি চেয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও এর জেরে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর বর্ষপূর্তির আগের দিন এক ভিডিও বার্তায় তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও গোটা অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
রোববার (৬ অক্টোবর) জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনা হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। ওই দিন যারা নিহত হয়েছেন, যারা যৌন সহিংসতাসহ বর্ণনাতীত সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের সবাইকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আমি সব জিম্মির ‘নিঃশর্ত’ মুক্তির আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। হামাসকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটিকে জিম্মিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে হবে। গুতেরেস আরও বলেন, এখন সময় জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার, সংঘাত বন্ধ করার ও এ অঞ্চলকে গ্রাস করার দুর্ভোগের ইতি টানার। এখন সময় শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের।