দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোট থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন নোটের জন্য নির্দিষ্ট নকশার প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকার সম্ভাবনা কম।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাপাবে। এই চার ধরনের নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি না রাখার চিন্তা করা হলেও পর্যায়ক্রমে সব ব্যাংক নোট থেকেই তার ছবি তুলে দেওয়া হতে পারে। যদিও নতুন নোট ছাপিয়ে বাজারে আসতে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় লাগতে পারে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের উপসচিব এলিশ শরমিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নতুন নোটের জন্য নির্দিষ্ট নকশার প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। নতুন নোট প্রচলনে কী ধরনের নকশা করা যায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ের জানাতে বলা হয়েছে।
নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির সভাপতি ডেপুটি গভর্নর-১ সহ চিত্রশিল্পীরা রয়েছেন।
দেশের ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। কোনো কোনো নোটের উভয় পাশেই তার ছবি রয়েছে। ধাতবমুদ্রা বা কয়েনগুলোতেও রয়েছে তার ছবি। নতুন নোট বাজারে এলেও বর্তমানে প্রচলিত সব নোটই চালু থাকবে।
দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো বাজারে ১, ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। এসব নোটে শেখ মুজিবের ছবি ছিল। এরপর বিভিন্ন সরকারের আমলে নতুন নতুন নোট প্রচলনের পাশাপাশি পুরোনো নোট বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার শেখ মুজিবের ছবি সংবলিত ১০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপে। এরপর সব নোটে প্রতিকৃতি ছাপানোর রেওয়াজ শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশের ব্যাংক নোট হচ্ছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট। যেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক বের করে। আর এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার নোট ও ধাতব মুদ্রা হচ্ছে সরকারি মুদ্রা। এগুলো অর্থ বিভাগ বের করে। ১, ৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সাও সরকারি মুদ্রা হলেও এখন আর বের করা হয় না।