ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের আটজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও সাত সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, যেসব সেনা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন ইগোজ ইউনিটের সদস্য। খবর বিবিসির।
লেবাননে আক্রমণ শুরু করার পর প্রথম বারের মতো ইসরায়েলি বাহিনীর একসঙ্গে এত সেনা নিহত হয়েছেন।
লেবাননে হিজবুল্লাহ ইরানের প্রতিরক্ষা ঢাল হিসেবে কাজ করে আসছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো আক্রান্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে হিজবুল্লাহর ভাণ্ডারে থাকা অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো প্রতিরোধের কাজে লাগাতো তারা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর অর্ধেক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব শেখ হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন এবং লেবাননে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে লেবাননে সম্মুখ যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাদের প্রতিহত করার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
বুধবার দুইবার মুখোমুখি লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। হিজবুল্লাহ বলছে, এগুলো যুদ্ধের প্রথম পর্যায়।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বুধবার (২ অক্টোবর) ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালাতে পারে। তবে সেটা যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হয় তবে তার পক্ষে নন বাইডেন।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এর পর থেকেই ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইরানের ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।