
অজু ছাড়া দোয়া করা যায়, জিকিরও করা যায়। কোরআন স্পর্শ না করে তিলাওয়াত করার জন্যও অজু জরুরি নয়। তবে দোয়া, জিকির ও তিলাওয়াত অজুসহ করলে তাতে সওয়াব বেশি পাওয়ার আশা করা যায়।
কোরআন ধরে বা হাতে নিয়ে পড়তে হলে অজু করতে হবে। অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা না-জায়েজ। যে গ্রন্থের অধিকাংশ লেখাই কোরআনের আয়াত তা স্পর্শ করার জন্যও অজু থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রন্থে কোরআনের আয়াত লিখিত থাকলে অজু ছাড়া ওই আয়াত স্পর্শ করা নাজায়েজ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন,
اِنَّهٗ لَقُرۡاٰنٌ کَرِیۡمٌ فِیۡ کِتٰبٍ مَّکۡنُوۡنٍ لَّا یَمَسُّهٗۤ اِلَّا الۡمُطَهَّرُوۡنَ تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। (সুরা ওয়াকেয়া: ৭৭-৮০)
গোসল ফরজ অবস্থায় ও নারীদের মাসিক অবস্থায়ও জিকির করা যাবে, কোরআনে উল্লিখিত দোয়াসহ যে কোনো দোয়াও পড়া যাবে। কোরআন তিলাওয়াত করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ
মাসিক অবস্থায় থাকা নারী এবং যাদের উপর গোসল ফরজ তারা কোরআন তিলওয়াত করবে না। (সুনানে তিরমিজি: ১৩১)
তবে গোসল ফরজ অবস্থায় এবং মাসিক অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত শোনা এবং উচ্চারণ না করে কোরআনের লেখার ওপর নজর বুলিয়ে যাওয়া এবং মনে মনে পড়া নিষিদ্ধ নয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো এক স্ত্রী ঋতুমতী থাকা অবস্থায়ও তিনি তার কোলে মাথা রেখে শুতেন এবং কোরআন পাঠ করতেন। (সুনানে নাসাঈ: ৩৮১)