গোসল ফরজ অবস্থায় গিলাফে মোড়ানো কোরআন স্পর্শ করা যাবে?

আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৪ ১১:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৪ ১১:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন

গোসল ফরজ অবস্থায় ও অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা না-জায়েজ। যে গ্রন্থের অধিকাংশ লেখাই কোরআনের আয়াত তা স্পর্শ করার জন্যও গোসল ও অজু থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রন্থে কোরআনের আয়াত লিখিত থাকলে গোসল ফরজ অবস্থায় এবং অজু ছাড়া ওই আয়াত স্পর্শ করা নাজায়েজ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন,

اِنَّهٗ لَقُرۡاٰنٌ کَرِیۡمٌ فِیۡ کِتٰبٍ مَّکۡنُوۡنٍ لَّا یَمَسُّهٗۤ اِلَّا الۡمُطَهَّرُوۡنَ تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। (সুরা ওয়াকেয়া: ৭৭-৮০)



তবে অজু না থাকা অবস্থায় এবং গোসল ফরজ অবস্থায়ও গিলাফে মোড়ানো কোরআন ধরা যাবে। অন্য কোনো পবিত্র কাপড় দিয়েও কোরআন ধরা যাবে। ওই কাপড়টি নিজের পরিহিত পোশাকের অংশ না হওয়া আবশ্যক। অজুহীন বা গোসল ফরজ অবস্থায় নিজের পরিহিত পোশাকের অংশ যেমন জামার হাতা ইত্যাদি দিয়ে কোরআন স্পর্শ করা নাজায়েজ।

গোসল ফরজ অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াতের বিধান

গোসল ফরজ অবস্থায় ও নারীদের মাসিক অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ
মাসিক অবস্থায় থাকা নারী এবং যাদের উপর গোসল ফরজ তারা কোরআন তিলওয়াত করবে না। (সুনানে তিরমিজি: ১৩১)

তবে গোসল ফরজ অবস্থায় এবং মাসিক অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত শোনা এবং উচ্চারণ না করে কোরআনের লেখার ওপর নজর বুলিয়ে যাওয়া এবং মনে মনে পড়া নিষিদ্ধ নয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো এক স্ত্রী ঋতুমতী থাকা অবস্থায়ও তিনি তার কোলে মাথা রেখে শুতেন এবং কোরআন পাঠ করতেন। (সুনানে নাসাঈ: ৩৮১)
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সোহাগ

প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক: রেজাউল করিম

অফিস :

প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, দিলকোশা, সাধারণ বিমা ভবন, লিফট-৪ (৫ম তলা), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ ।

রেজিঃ নং ডিএ ৬৪৪২।  নিবন্ধিত দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল নং ৮৪।