বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর আদাবরে পোশাকশ্রমিক রুবেলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানোর পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখান।
এরপর আসামি মেহেদী হাসানের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১ টার দিকে আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতিলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম। মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাকিব আল হাসানসহ ১৫৬ জন আসামি রয়েছেন। অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।