শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজি করায় এ এস এম হাসিব হাসানকে কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজি করায় সাত ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন সভা শেষে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক ফারহানা ফারুকী জানান, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজির কারণে এ এস এম হাসিব হাসান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে কমিশন সভায় তাকে কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে- বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের প্রশ্রয়ে কারসাজির মাধ্যমে ইমাম বাটনের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়াতে ভূমিকা রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এস এম হাসিব হাসান।
শেয়ার দাম বাড়াতে কোম্পানিটি মাছ ব্যবসা ও ট্যানারি ইউনিট নিয়ে মিথ্যা ডিসক্লোজার দেয়। শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লে সেই সুযোগে নামে-বেনামে থাকা বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম হাসিব হাসান।
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইমাম গ্রুপ। যার মালিক মোহাম্মদ আলীর হাতে ইমাম বাটনের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আকতারের হাতে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার আছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইমাম গ্রুপের ৮০০ কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণের কারণে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা ৫৫ মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালান মোহাম্মদ আলী। তার পর থেকেই বন্ধ কারখানা।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে নিজের নামে দুই শতাংশ এবং হামি অ্যান্ড কোংয়ের নামে আরও দুই শতাংশ শেয়ার কিনে ২০২২ সালের অক্টোবরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসিতে ইমাম বাটনের মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেন এএসএম হাসিব হাসান।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ সগির হোসেন খন্দকারকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বিএসইসি। এএসএম হাসিব হাসান নিয়োগ পান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে। আর ইমাম বাটনের নাম পরিবর্তন করে করা হয় হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। বর্তমানে এই নামেই কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে রয়েছে।
এদিকে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শাহরিয়ার জামান ও তার সহযোগী আসফাকুজ্জামানকে আড়াই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এম লুৎফুল গনি টিটু এবং তার সহযোগী মো. মাহমুদুল হাসান, বেনজু খাদ্য ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী খায়রুল হাসান বেনজু, লুৎফুল নাহার বেগম ও আখিকুননাহারকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের কারসাজিতে জড়িত।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশন সভা শেষে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক ফারহানা ফারুকী জানান, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেনে কারসাজির কারণে এ এস এম হাসিব হাসান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে কমিশন সভায় তাকে কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে- বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের প্রশ্রয়ে কারসাজির মাধ্যমে ইমাম বাটনের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়াতে ভূমিকা রাখেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এস এম হাসিব হাসান।
শেয়ার দাম বাড়াতে কোম্পানিটি মাছ ব্যবসা ও ট্যানারি ইউনিট নিয়ে মিথ্যা ডিসক্লোজার দেয়। শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়লে সেই সুযোগে নামে-বেনামে থাকা বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম হাসিব হাসান।
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইমাম গ্রুপ। যার মালিক মোহাম্মদ আলীর হাতে ইমাম বাটনের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ এবং তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আকতারের হাতে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার আছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইমাম গ্রুপের ৮০০ কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণের কারণে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা ৫৫ মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালান মোহাম্মদ আলী। তার পর থেকেই বন্ধ কারখানা।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে নিজের নামে দুই শতাংশ এবং হামি অ্যান্ড কোংয়ের নামে আরও দুই শতাংশ শেয়ার কিনে ২০২২ সালের অক্টোবরে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসিতে ইমাম বাটনের মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেন এএসএম হাসিব হাসান।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ সগির হোসেন খন্দকারকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বিএসইসি। এএসএম হাসিব হাসান নিয়োগ পান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে। আর ইমাম বাটনের নাম পরিবর্তন করে করা হয় হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। বর্তমানে এই নামেই কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে রয়েছে।
এদিকে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করায় সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শাহরিয়ার জামান ও তার সহযোগী আসফাকুজ্জামানকে আড়াই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এম লুৎফুল গনি টিটু এবং তার সহযোগী মো. মাহমুদুল হাসান, বেনজু খাদ্য ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী খায়রুল হাসান বেনজু, লুৎফুল নাহার বেগম ও আখিকুননাহারকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের কারসাজিতে জড়িত।