পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি বিশেষ অগ্রাধিকারে রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এ সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ রোববার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজসভার পর পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে সূচিত বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকার ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছি।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা জানার আগ্রহ জানিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি এ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এক মাসের একটু বেশি আগে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও সরকারের সংস্কারের বিষয়ে যেসব ধ্যানধারণা রয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে তা নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে।
এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এই অর্থে যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র একটি সম্যক ধারণা পেয়েছে। পাশাপাশি, সরকার কী করতে চায় সে সম্পর্কেও ধারণা পেলেন তারা। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ভিত্তি তৈরি করেছে এই আলোচনা। পরবর্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বড় আকারে আর্থিক খাতে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছি এবং পাচার হওয়া অর্থসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশেষায়িত জ্ঞান রয়েছে, সেটি হয়তো আমরা ব্যবহার করব, কিন্তু আলাপ-আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। এর চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগবে।’
পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন বলেন, প্রতিনিধিদলের এই সফরে প্রথম যে আশ্বাস, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়। সেটারই প্রতিফলন হিসেবে সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাসেই যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। দ্বিতীয়ত, আর্থিক সংস্কারের যেসব খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, তার সব কটি খাতে তারা সার্বিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। শ্রম আইন নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে এবং এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিনিধিদল আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক করে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ রোববার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজসভার পর পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জসীম উদ্দিন বলেন, বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে সূচিত বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকার ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছি।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা জানার আগ্রহ জানিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি এ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এক মাসের একটু বেশি আগে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও সরকারের সংস্কারের বিষয়ে যেসব ধ্যানধারণা রয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে তা নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে।
এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এই অর্থে যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র একটি সম্যক ধারণা পেয়েছে। পাশাপাশি, সরকার কী করতে চায় সে সম্পর্কেও ধারণা পেলেন তারা। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ভিত্তি তৈরি করেছে এই আলোচনা। পরবর্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বড় আকারে আর্থিক খাতে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছি এবং পাচার হওয়া অর্থসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশেষায়িত জ্ঞান রয়েছে, সেটি হয়তো আমরা ব্যবহার করব, কিন্তু আলাপ-আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। এর চূড়ান্ত রূপ পেতে কিছুটা সময় লাগবে।’
পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন বলেন, প্রতিনিধিদলের এই সফরে প্রথম যে আশ্বাস, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়। সেটারই প্রতিফলন হিসেবে সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাসেই যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। দ্বিতীয়ত, আর্থিক সংস্কারের যেসব খাত চিহ্নিত করা হয়েছে, তার সব কটি খাতে তারা সার্বিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। শ্রম আইন নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে এবং এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিনিধিদল আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক করে।