আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তাদেরই একজন হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস। পরে তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে নিয়োগ পান। এরই মধ্যে তিনি প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেন ২৫ আত্মীয়কে। নিয়োগ-বাণিজ্য, জমি দখল, লুটপাট, প্রকল্পের নামে আত্মসাৎ করে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ। নিজ উপজেলা ও রাজধানীতে কিনেছেন জমি ও ফ্ল্যাট।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বিশ্বাস ও শামসুন্নাহার দম্পতির ছেলে হারুন বিশ্বাস। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও পদে থেকে তিনি নিজ উপজেলা এবং রাজধানীতে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এমনকি তিনি টানা দুবার আওয়ামী লীগের টিকিটে ভোটারবিহীন নির্বাচনে বড় ভাই মন্টু বিশ্বাসকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। তার ভাই মন্টু বিশ্বাসের নির্বাচনে বিরোধিতা করায় ইউসুফ ইঞ্জিনিয়ার নামে একজনকে জেলহাজতে নিয়ে নির্যাতন করেন হারুনরা।
জানা গেছে, হারুন বিশ্বাস তার মায়ের নামে শামসুন্নাহার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট তৈরি করেন। সেই ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তিনি নিজে। নিজের ক্ষমতায় বাড়ির সামনে সরকারি টাকায় বেগম শামসুন্নাহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ভবন নির্মাণ করেন তিনি। সরকারি টাকায় নির্মিত সেই ভবনটি এখন নিজেদের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন হারুনের বড় ভাই মন্টু বিশ্বাস। এ ছাড়া ভবন নির্মাণের টাকায় ভাগ বসানোর অভিযোগ রয়েছে ট্রাস্টের সভাপতি মন্টু বিশ্বাস এবং তার কথিত ভাতিজা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ট্রাস্টের নামে একটি স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুল নির্মাণ করতে দখল করা হয়েছে স্থানীয় শাহ আলম হাওলাদার ও রশিদ মৃধার জমি। দখলে বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতন এবং পুলিশি হয়রানির শিকার হন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ প্রকল্পের নামেও লুটপাট করেছেন হারুন ও মন্টু বিশ্বাস। জমি ক্রয় করে মডেল গ্রামের নামে ‘মডেল ভবন’ নির্মাণের কথা থাকলে তা করা হয়নি। বরং সরকারি খাল দখল করে মডেল ভবন নির্মাণ করে আত্মসাৎ করেছেন জমি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দের টাকা। কাজীরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার কলমখাঁর মোড় এলাকায় গণকবরস্থানের নামে দখল করেছেন বহু মানুষের ফসলি জমি। সেইসঙ্গে সরকারি খাসজমিতে বালু ভরাট করে আত্মসাৎ করেছেন কোটি টাকা। এমনকি গণকবরের নামে মানুষের জমি দখল করা হলেও সেখানে করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’-এর ‘মডেল ভবন।
চরকমিশনারের নুরু মাতুব্বরের বাড়ির পাসে ৪ বিঘা জমি তিনি ক্রয় করেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাবুগঞ্জের কৃষ্টরুদ্র মৌজায় বাড়িসহ প্রায় ৩ একর জমি প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে দখল করেন মন্টু বিশ্বাস। বরিশাল বিএম কলেজ এলাকায় কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন হারুন ও মন্টু বিশ্বাস।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বিশ্বাস ও শামসুন্নাহার দম্পতির ছেলে হারুন বিশ্বাস। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও পদে থেকে তিনি নিজ উপজেলা এবং রাজধানীতে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এমনকি তিনি টানা দুবার আওয়ামী লীগের টিকিটে ভোটারবিহীন নির্বাচনে বড় ভাই মন্টু বিশ্বাসকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। তার ভাই মন্টু বিশ্বাসের নির্বাচনে বিরোধিতা করায় ইউসুফ ইঞ্জিনিয়ার নামে একজনকে জেলহাজতে নিয়ে নির্যাতন করেন হারুনরা।
জানা গেছে, হারুন বিশ্বাস তার মায়ের নামে শামসুন্নাহার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট তৈরি করেন। সেই ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তিনি নিজে। নিজের ক্ষমতায় বাড়ির সামনে সরকারি টাকায় বেগম শামসুন্নাহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ভবন নির্মাণ করেন তিনি। সরকারি টাকায় নির্মিত সেই ভবনটি এখন নিজেদের বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন হারুনের বড় ভাই মন্টু বিশ্বাস। এ ছাড়া ভবন নির্মাণের টাকায় ভাগ বসানোর অভিযোগ রয়েছে ট্রাস্টের সভাপতি মন্টু বিশ্বাস এবং তার কথিত ভাতিজা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ট্রাস্টের নামে একটি স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুল নির্মাণ করতে দখল করা হয়েছে স্থানীয় শাহ আলম হাওলাদার ও রশিদ মৃধার জমি। দখলে বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতন এবং পুলিশি হয়রানির শিকার হন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ প্রকল্পের নামেও লুটপাট করেছেন হারুন ও মন্টু বিশ্বাস। জমি ক্রয় করে মডেল গ্রামের নামে ‘মডেল ভবন’ নির্মাণের কথা থাকলে তা করা হয়নি। বরং সরকারি খাল দখল করে মডেল ভবন নির্মাণ করে আত্মসাৎ করেছেন জমি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দের টাকা। কাজীরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার কলমখাঁর মোড় এলাকায় গণকবরস্থানের নামে দখল করেছেন বহু মানুষের ফসলি জমি। সেইসঙ্গে সরকারি খাসজমিতে বালু ভরাট করে আত্মসাৎ করেছেন কোটি টাকা। এমনকি গণকবরের নামে মানুষের জমি দখল করা হলেও সেখানে করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’-এর ‘মডেল ভবন।
চরকমিশনারের নুরু মাতুব্বরের বাড়ির পাসে ৪ বিঘা জমি তিনি ক্রয় করেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাবুগঞ্জের কৃষ্টরুদ্র মৌজায় বাড়িসহ প্রায় ৩ একর জমি প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে দখল করেন মন্টু বিশ্বাস। বরিশাল বিএম কলেজ এলাকায় কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন হারুন ও মন্টু বিশ্বাস।