ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে সত্যেন বোস পাঠাগারে হামলা-লুটপাট ও শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পাঠাগারের সম্পাদক পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাঠাগারের সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ১৯৯০ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের নামে ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’ পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ভাসমান থাকার পর শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রভোস্টের সহযোগিতায় পাঠাগারটি জগন্নাথ হলে একটি কক্ষ বরাদ্দ পায়। পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরেই বই পড়া কর্মসূচি, পাঠচক্র, আলোচনাসভা, সিনেমা প্রদর্শনী, মণীষী স্মরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, বুক স্টল দেওয়াসহ নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হল বন্ধ ঘোষণার সময় পাঠাগারটি প্রশাসন তালাবদ্ধ করে রাখে। ২ সেপ্টেম্বর রাতে পিংকর চৌধুরী রাতুল ও রাজদীপ চৌধুরী রানুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাঠাগারটির তালা ভেঙে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, জগন্নাথ হলে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাপ দেয়। এই পরিস্থিতিতে পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা উত্তেজিত মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছনা করে, আটকে রেখে দীর্ঘসময় জেরা করে ও মারধর করে।
মোজাম্মেল আরও বলেন, এসময় মবের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসে। আমি তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের উত্তেজিত কর্মীরা তাদের ফোন চেক করে, ওই সময় অন্যদের সঙ্গে তাদের ফোনালাপ লাউড দিয়ে মবকে শোনায়, যা রীতিমতো মানবাধিকার লঙ্ঘন। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শত শত মানুষের শহীদী আত্মদানে পাওয়া বাংলাদেশে এ ধরনের অসহিষ্ণু এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। অবশেষে একজন সহকারী প্রক্টর ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। গণআন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত শক্তি ছাত্রলীগ হল প্রভোস্ট মিহির লাল সাহার সহযোগিতায় এরকম একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটালো।
তিনি বলেন, আমরা আগেও দেখেছি তিনি নানাভাবে ছাত্রলীগকে শেল্টার দিয়েছেন এবং নানা অপকর্মে ছাত্রলীগকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। একজন শিক্ষক এবং প্রভোস্টের পক্ষ থেকে এরকম আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত করেছে। আমরা প্রত্যেকেই চাই, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অগণতান্ত্রিক এবং অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি না হোক। জগন্নাথ হলে হামলা এবং লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অতিসত্বর ক্যাম্পাসে চলমান সকল অরাজকতার সমাধান চাই।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পাঠাগারের সম্পাদক পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাঠাগারের সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ১৯৯০ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের নামে ‘সত্যেন বোস পাঠাগার’ পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ভাসমান থাকার পর শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রভোস্টের সহযোগিতায় পাঠাগারটি জগন্নাথ হলে একটি কক্ষ বরাদ্দ পায়। পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরেই বই পড়া কর্মসূচি, পাঠচক্র, আলোচনাসভা, সিনেমা প্রদর্শনী, মণীষী স্মরণ, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, বুক স্টল দেওয়াসহ নানা ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে হল বন্ধ ঘোষণার সময় পাঠাগারটি প্রশাসন তালাবদ্ধ করে রাখে। ২ সেপ্টেম্বর রাতে পিংকর চৌধুরী রাতুল ও রাজদীপ চৌধুরী রানুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাঠাগারটির তালা ভেঙে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, জগন্নাথ হলে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাপ দেয়। এই পরিস্থিতিতে পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা উত্তেজিত মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছনা করে, আটকে রেখে দীর্ঘসময় জেরা করে ও মারধর করে।
মোজাম্মেল আরও বলেন, এসময় মবের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসে। আমি তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের উত্তেজিত কর্মীরা তাদের ফোন চেক করে, ওই সময় অন্যদের সঙ্গে তাদের ফোনালাপ লাউড দিয়ে মবকে শোনায়, যা রীতিমতো মানবাধিকার লঙ্ঘন। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শত শত মানুষের শহীদী আত্মদানে পাওয়া বাংলাদেশে এ ধরনের অসহিষ্ণু এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। অবশেষে একজন সহকারী প্রক্টর ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আশ্রয়ে যায়। গণআন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত শক্তি ছাত্রলীগ হল প্রভোস্ট মিহির লাল সাহার সহযোগিতায় এরকম একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটালো।
তিনি বলেন, আমরা আগেও দেখেছি তিনি নানাভাবে ছাত্রলীগকে শেল্টার দিয়েছেন এবং নানা অপকর্মে ছাত্রলীগকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। একজন শিক্ষক এবং প্রভোস্টের পক্ষ থেকে এরকম আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত করেছে। আমরা প্রত্যেকেই চাই, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অগণতান্ত্রিক এবং অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি না হোক। জগন্নাথ হলে হামলা এবং লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অতিসত্বর ক্যাম্পাসে চলমান সকল অরাজকতার সমাধান চাই।