ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে তৃনমূল মানুষের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চন্দনাইশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্র-সংসদ কতৃৃক শেখ হাসিনাতেই আস্থা” শীর্ষক কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রীড়া মনস্ক প্রজন্ম গঠনে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন ভূমিকা রাখছে- আ জ ম নাছির উদ্দীন টাঙ্গাইলে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন দলের শতাধিক কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান। টাঙ্গাইলে লৌহজং নদী দখল ও দূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায়ে নৌকায় ভোট দিন : আব্দুল হাফিজ মল্লিক।। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া উপজেলা সরকারি দুই দপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে “বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী : তথ্যমন্ত্রী”

গভীর নলকূপের সেচ না পাওয়ায় আমন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার মো:রুহুল আমিন শেখ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গভীর নলকূপের এক অপারেটরের বিরুদ্ধে কৃষককে পানির সেচ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিকরামপুর গ্রামে। গভীর নলকূপের অপারেটর ইব্রাহিম মিলন টিকরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। সেচ দিতে না পারায় ওই গভীর নলকূপের আওতাধীন ১৭০ বিঘার আমন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন ৫০-৬০ জন কৃষক। এ ঘটনায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর প্রকৌশলী বরাবর কৃষকরা একটি লিখিত আবেদন করলেও মিলছে না কোন সুরাহা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে মর্টারও। এবার আমনের মৌসুমে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেচ লাগবে না বলে সবাই ধারণা করেছিল কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের মাঠ শুকনো হয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষক। এখন একটি সেচ দিতে না পারলে আমনের ফসল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছেন কৃষক।
টিকরামপুর গ্রামের কৃষক সামিনুল বলেন, আমরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গত তিন মাস ধরে নলকূপটি বন্ধ রয়েছে। এখন পানি না পেলে আমনের আবাদ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বারবার কৃষকের পক্ষ থেকে অপারেটরকে জানানো হলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেনি।
আরেক কৃষক মুকুন্দ বলেন, সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আমন ধান লাগিয়েছি। আর কয়েকটা দিন পর ধান কাটা শুরু হবে। তার আগে একটি সেচ খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোনভাবেই সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফসল ভালো না হলে ঋণ পরিশোধ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হবে।
গভীর নলকূপের অপারেটর ইব্রাহিম মিলন বলেন, কৃষকদের সাথে বারবার আলোচনা করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তাদের গাফিলতির কারনেই এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সকলে ডাকা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে তৃনমূল মানুষের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গভীর নলকূপের সেচ না পাওয়ায় আমন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

আপডেট টাইম ০৪:০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার মো:রুহুল আমিন শেখ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গভীর নলকূপের এক অপারেটরের বিরুদ্ধে কৃষককে পানির সেচ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিকরামপুর গ্রামে। গভীর নলকূপের অপারেটর ইব্রাহিম মিলন টিকরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। সেচ দিতে না পারায় ওই গভীর নলকূপের আওতাধীন ১৭০ বিঘার আমন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন ৫০-৬০ জন কৃষক। এ ঘটনায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর প্রকৌশলী বরাবর কৃষকরা একটি লিখিত আবেদন করলেও মিলছে না কোন সুরাহা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে মর্টারও। এবার আমনের মৌসুমে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেচ লাগবে না বলে সবাই ধারণা করেছিল কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের মাঠ শুকনো হয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষক। এখন একটি সেচ দিতে না পারলে আমনের ফসল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছেন কৃষক।
টিকরামপুর গ্রামের কৃষক সামিনুল বলেন, আমরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গত তিন মাস ধরে নলকূপটি বন্ধ রয়েছে। এখন পানি না পেলে আমনের আবাদ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বারবার কৃষকের পক্ষ থেকে অপারেটরকে জানানো হলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেনি।
আরেক কৃষক মুকুন্দ বলেন, সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আমন ধান লাগিয়েছি। আর কয়েকটা দিন পর ধান কাটা শুরু হবে। তার আগে একটি সেচ খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোনভাবেই সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফসল ভালো না হলে ঋণ পরিশোধ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হবে।
গভীর নলকূপের অপারেটর ইব্রাহিম মিলন বলেন, কৃষকদের সাথে বারবার আলোচনা করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তাদের গাফিলতির কারনেই এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সকলে ডাকা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।