ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত। টাঙ্গাইলে আইনজীবি সহকারি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ১

উদ্ধার হয়নি ২৫২ একর বনভূমি

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ৩৭৮ জন দখলদার অবৈধভাবে সৈকতসংলগ্ন ২৫১ দশমিক ৭৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে রেখেছেন। এসব বনভূমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছপালা কেটে কৃষিজমি তৈরি করে চাষাবাদ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বন বিভাগের দাবি, দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে জোর করে সেখানে বসবাস করছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত বছর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বনভূমি দখলদারের তালিকা তৈরি করে এবং বেদখল হওয়া বনভূমির উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের পর থেকে কুয়াকাটায় ১০০ একরের বেশি বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ৩৭৮ জন দখলদারের কাছ থেকে ২৫১ দশমিক ৭৪ একর বনভূমি উদ্ধার করা যায়নি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সৈকতের একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। এই সৈকতের কোল ঘেঁষেই রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। একসময় কুয়াকাটার সৈকতঘেঁষা নারকেলবাগান, জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগান পর্যটকদের আকৃষ্ট করত। কিন্তু সেই বনভূমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। গত এক বছরে জবরদখলে থাকা ১০০ একরের বেশি বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে নতুন করে বাগান করা হচ্ছে। আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগ।
পটুয়াখালী বন বিভাগ কার্যালয় জানায়, কুয়াকাটায় মহিপুর রেঞ্জের লতাচাপলি ও গঙ্গামতী মৌজায় মোট বনের আয়তন ৩ হাজার ৫০৩ দশমিক শূন্য ৮ একর। ২০০৫ সালে সরকার ১ হাজার ৮৮৭ একর বনভূমি নিয়ে কুয়াকাটায় জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। কুয়াকাটাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে করে তুলতে প্রতিবছরই প্রাকৃতিক বনসংলগ্ন বাগান গড়ছে বন বিভাগ। কিন্তু সেই বাগান ধ্বংস করে দখলদারেরা আড়াই শ একর বনভূমি দখল করেছে। এর মধ্যে লতাচাপলি মৌজায় ১৮৬ দশমিক ৮০ একর ও গঙ্গামতী মৌজায় ৬৪ দশমিক ৯৪ একর দখল হয়ে আছে।
কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া গঙ্গামতী এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা ক্যাম্পের পাশেই বন ধ্বংস করে বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষিজমি তৈরি করে চাষাবাদ চলছে। পাশেই গাছপালা কেটে সেখানে অনেকে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। সৈকতের লবণ-পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় অনেক দখলদার সেখানে শ্যালো নলকূপও বসিয়েছেন।
সংরক্ষিত বনের ভেতরেই ৬৫ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া পাশেই তাঁর এক একরের মতো কৃষিজমি রয়েছে। তিনি ওই জমিতে আমন আবাদ করেছেন। বন বিভাগ থেকে তাঁকে বনভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশও দিয়েছে বলে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল

উদ্ধার হয়নি ২৫২ একর বনভূমি

আপডেট টাইম ০৬:৫১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ৩৭৮ জন দখলদার অবৈধভাবে সৈকতসংলগ্ন ২৫১ দশমিক ৭৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে রেখেছেন। এসব বনভূমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছপালা কেটে কৃষিজমি তৈরি করে চাষাবাদ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বন বিভাগের দাবি, দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে জোর করে সেখানে বসবাস করছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত বছর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বনভূমি দখলদারের তালিকা তৈরি করে এবং বেদখল হওয়া বনভূমির উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের পর থেকে কুয়াকাটায় ১০০ একরের বেশি বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ৩৭৮ জন দখলদারের কাছ থেকে ২৫১ দশমিক ৭৪ একর বনভূমি উদ্ধার করা যায়নি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সৈকতের একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। এই সৈকতের কোল ঘেঁষেই রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। একসময় কুয়াকাটার সৈকতঘেঁষা নারকেলবাগান, জাতীয় উদ্যানের ঝাউবাগান পর্যটকদের আকৃষ্ট করত। কিন্তু সেই বনভূমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। গত এক বছরে জবরদখলে থাকা ১০০ একরের বেশি বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে নতুন করে বাগান করা হচ্ছে। আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগ।
পটুয়াখালী বন বিভাগ কার্যালয় জানায়, কুয়াকাটায় মহিপুর রেঞ্জের লতাচাপলি ও গঙ্গামতী মৌজায় মোট বনের আয়তন ৩ হাজার ৫০৩ দশমিক শূন্য ৮ একর। ২০০৫ সালে সরকার ১ হাজার ৮৮৭ একর বনভূমি নিয়ে কুয়াকাটায় জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। কুয়াকাটাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে করে তুলতে প্রতিবছরই প্রাকৃতিক বনসংলগ্ন বাগান গড়ছে বন বিভাগ। কিন্তু সেই বাগান ধ্বংস করে দখলদারেরা আড়াই শ একর বনভূমি দখল করেছে। এর মধ্যে লতাচাপলি মৌজায় ১৮৬ দশমিক ৮০ একর ও গঙ্গামতী মৌজায় ৬৪ দশমিক ৯৪ একর দখল হয়ে আছে।
কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া গঙ্গামতী এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা ক্যাম্পের পাশেই বন ধ্বংস করে বিশাল এলাকাজুড়ে কৃষিজমি তৈরি করে চাষাবাদ চলছে। পাশেই গাছপালা কেটে সেখানে অনেকে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। সৈকতের লবণ-পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় অনেক দখলদার সেখানে শ্যালো নলকূপও বসিয়েছেন।
সংরক্ষিত বনের ভেতরেই ৬৫ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া পাশেই তাঁর এক একরের মতো কৃষিজমি রয়েছে। তিনি ওই জমিতে আমন আবাদ করেছেন। বন বিভাগ থেকে তাঁকে বনভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশও দিয়েছে বলে জানা গেছে।