মাতৃভূমির খবর রির্পোট : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।আজ বুধবার গুলিস্তানে জাসদের কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহার ঘোষণার শুরুতে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, তাদের চলন-বলন, কথা-বার্তা দেখে প্রতিয়মান হচ্ছে যে, তারা নির্বাচন বানচালের উছিলা তৈরি করছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়াসহ ৩৮ দফা প্রতিশ্রুতির ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। তবে এসব প্রতিশ্রুতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দফাগুলো হলো-
- সরকার পরিচালনায় ভারসাম্য, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো হবে।
- রাষ্ট্রীয় মূলনীতি অনুসরণ করা হবে।
- মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত না করা ও ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত ও অস্বীকার না করা, মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান তার স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
- দুর্নীতি দমন কমিশনকে লোকবল ও প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তিশালী ও স্বাধীন করা হবে।
- জঙ্গিবাদ ও জঙ্গিবাদী সব নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
- ১৯৭১ সালে জাতির ওপর পরিচালিত যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত রাখার জন্য সোচ্চার থাকবে।
- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা হবে।
- সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারকে সব বিষয়ে সংসদের কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালনা করানো হবে এবং তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে।
- সংসদ ও নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার করা হবে।
- স্থানীয় সরকারের ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রী, এমপি, আমলাদের সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও খবরদারি বন্ধ করে স্থানীয় সরকার কমিশনের ওপর স্থানীয় সরকারকে গতিশীল দায়বদ্ধ ও শক্তিশালী করতে আর্থিক ক্ষমতাসহ সব দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
- জাতীয় সংসদে আলোচনা এবং শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষক-গবেষক-বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হবে।
- নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বিস্তৃত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে করে প্রতিটি তরুণ যেন বেকার না থাকে এবং জাতীয় উন্নয়ন, সমাজ ও পরিবারের জন্য অবদান রাখতে পারে।
- প্রতি পরিবারে কমপক্ষে একজনের জন্য বছরে অন্তত ১০০ দিনের নিশ্চয়তাসহ কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হবে।
- মাদক ও নেশাদ্রব্যের সহজপ্রাপ্যতা রোধ, মাদক নেটওয়ার্ক ধ্বংসের কাজ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সেইসেঙ্গ শূন্য সহিষ্ণুতা দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান কঠোরভাবে এগিয়ে নেওয়া হবে।