ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক: মেয়র রেজাউল টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১০টন পলিথিন জব্দ দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়: মির্জা আজম “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: লোহাগাড়া সমিতি চট্টগ্রাম’র নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত

আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আরও ১ আসামীর কারাগারে মৃত্যু

মোঃ মশিউর রহমাহ,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আরো এক আসামীর কারাগারে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত আসামীর নাম মো. সমীর (৪২)। তিনি শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফারুক হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, রাত পৌনে ৯ টার দিকে সমীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। পরে কারা চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক তাকে জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হৃদরোগ জনিত সমস্যার কারণে ইতিপূর্বে একাধিকবার চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। শনিবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ যথা নিয়মে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা (৪২) কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আনিসুল টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম মোতালেবের ছেলে। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজাকে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে। দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর আনিসুল ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল। রাজার স্বীকারোক্তিতেই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য সহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে দেওয়া ওই দুজনের স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন একজন সংসদ সদস্য ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আরও ১ আসামীর কারাগারে মৃত্যু

আপডেট টাইম ০৬:৪৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
মোঃ মশিউর রহমাহ,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আরো এক আসামীর কারাগারে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত আসামীর নাম মো. সমীর (৪২)। তিনি শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফারুক হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, রাত পৌনে ৯ টার দিকে সমীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। পরে কারা চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক তাকে জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হৃদরোগ জনিত সমস্যার কারণে ইতিপূর্বে একাধিকবার চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। শনিবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ যথা নিয়মে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা (৪২) কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আনিসুল টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলাম মোতালেবের ছেলে। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজাকে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে। দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর আনিসুল ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল। রাজার স্বীকারোক্তিতেই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য সহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতে দেওয়া ওই দুজনের স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন একজন সংসদ সদস্য ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।