ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত মতলব উত্তরে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরিত্যক্ত ভূমি পেলে সৌন্দর্যবর্ধনে অর্থায়ন করবে চসিক: মেয়র রেজাউল টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১০টন পলিথিন জব্দ দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়: মির্জা আজম “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: “যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বসুন্ধরা কিংস” ইকরামুজ্জমান: লোহাগাড়া সমিতি চট্টগ্রাম’র নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

সাংবাদিকদের উপর অত্যাচার সহ্য করা হবে নাঃ আইনমন্ত্রী

হাবিবুর রহমান বাবু
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপরে কোনও অত্যাচার হোক, সেটা সরকার সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।
এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনও সরকারি ভবন। অনেক রেজিস্ট্রি অফিসের ভাগে জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত ভবন বরাদ্দ পাওয়াটাও ছিল দুষ্কর। আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল, মাথার ওপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। তাদের ঘরে বেড়া ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত ছিল। দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরনা দিতে হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকতো। সবমিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছিল চরম হতাশা।
তিনি বিশ্বাস করেন, অবহেলিত অবস্থাকে পিছনে ফেলে বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদফতর অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও দূর হয়েছে হতাশা। কারণ বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদফতরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। ঢাকার কালামপুরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন এর অন্যতম উদাহরণ।
নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত  প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৪জনের কারাদণ্ড

সাংবাদিকদের উপর অত্যাচার সহ্য করা হবে নাঃ আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
হাবিবুর রহমান বাবু
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের ওপরে কোনও অত্যাচার হোক, সেটা সরকার সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, একমাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।
এর আগে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনও সরকারি ভবন। অনেক রেজিস্ট্রি অফিসের ভাগে জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত ভবন বরাদ্দ পাওয়াটাও ছিল দুষ্কর। আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল, মাথার ওপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। তাদের ঘরে বেড়া ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত ছিল। দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরনা দিতে হতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকতো। সবমিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছিল চরম হতাশা।
তিনি বিশ্বাস করেন, অবহেলিত অবস্থাকে পিছনে ফেলে বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদফতর অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও দূর হয়েছে হতাশা। কারণ বিগত প্রায় সাড়ে সাত বছরে নিবন্ধন অধিদফতরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। ঢাকার কালামপুরে নবনির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন এর অন্যতম উদাহরণ।
নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত  প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।