ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

বৃদ্ধ‌কে হত্যার অ‌ভি‌যোগে পৌর মেয়‌রের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার বাহিনী দিয়ে মোঃ মাকসুদুর রহমান তালুকদারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পটুয়াখালী পিডিএস মাঠের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহতের বড় মেয়ে মাকসুদা আক্তার মিশু বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি ঢাকা থেকে আসি। ঢাকা থেকে এসে বাবার লাশটা দেখতেও পারি নাই। তার আগেই লাশ দাফন করা হয়। গত ০৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সুতাখালী খাল দেখতে গেলে সুস্থ শরীরে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা। তার কিছুক্ষণ পর নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সামনেই মেয়র আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার চাচাতো ভাইকে পুলিশ হ্যান্ডকাপ পড়ায়। পরে সন্ধ্যার পর আমার বাবার লাশ পাওয়া যায় শ্মশানের ভেতর। আমার বাবার যদি স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয় তবে বাবার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন এলো কোথা থেকে? আমার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেয়রের লোকজন বাসায় গিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। বাসা থেকে বের হতেই ভয় লাগে এখন। আমার বাবা হত্যার বিচার চাই, সেই সঙ্গে মেয়র ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
মাকসুদুর রহমান তালুকদারের বোন ঝুমা বেগম বলেন, যে জনগণের প্রতিনিধি সে জনগণকে রক্ষা না করে উল্টো তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেললো। আমার ভাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
নিহতের ছোট মেয়ে নিশাত আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ থাকবে আমরা যেন আমার বাবা হত্যার বিচার পাই।
গত মঙ্গলবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী পটুয়াখালী পৌরসভার সুতাখালী খাল দেখতে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তখন খাল রক্ষার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধ মাকসুদুর রহমান তালুকদার। চেয়ারম্যানের সামনেই ওই বৃদ্ধকে হুমকি দেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। মেয়রের বিপক্ষে অবস্থায় নেওয়ায় ওই বৃদ্ধের এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেফতারও করে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাসির নামের একজনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের তথ্যমতে, শ্মশানে দাহ করার স্লাবের নিচে বৃদ্ধের মরদেহ পড়েছিল। দাহ করার জন্য রাখা কাঠ শরীরের ওপর ছিটানো ছিলো। পরে কয়েকজন তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার পর স্থানীয়রা তার মরদেহ দাফন করে। পরিবারের অনেক সদস্য তখন অনুপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, শুরুতে কেউ অভিযোগ দেয়নি। দাফন করার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে এসেছিল।
পৌর মেয়র মোঃ  মহিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

বৃদ্ধ‌কে হত্যার অ‌ভি‌যোগে পৌর মেয়‌রের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন।

আপডেট টাইম ০৪:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার বাহিনী দিয়ে মোঃ মাকসুদুর রহমান তালুকদারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজনরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পটুয়াখালী পিডিএস মাঠের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহতের বড় মেয়ে মাকসুদা আক্তার মিশু বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি ঢাকা থেকে আসি। ঢাকা থেকে এসে বাবার লাশটা দেখতেও পারি নাই। তার আগেই লাশ দাফন করা হয়। গত ০৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সুতাখালী খাল দেখতে গেলে সুস্থ শরীরে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা। তার কিছুক্ষণ পর নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সামনেই মেয়র আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার চাচাতো ভাইকে পুলিশ হ্যান্ডকাপ পড়ায়। পরে সন্ধ্যার পর আমার বাবার লাশ পাওয়া যায় শ্মশানের ভেতর। আমার বাবার যদি স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয় তবে বাবার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন এলো কোথা থেকে? আমার বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেয়রের লোকজন বাসায় গিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। বাসা থেকে বের হতেই ভয় লাগে এখন। আমার বাবা হত্যার বিচার চাই, সেই সঙ্গে মেয়র ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
মাকসুদুর রহমান তালুকদারের বোন ঝুমা বেগম বলেন, যে জনগণের প্রতিনিধি সে জনগণকে রক্ষা না করে উল্টো তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেললো। আমার ভাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
নিহতের ছোট মেয়ে নিশাত আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ থাকবে আমরা যেন আমার বাবা হত্যার বিচার পাই।
গত মঙ্গলবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী পটুয়াখালী পৌরসভার সুতাখালী খাল দেখতে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তখন খাল রক্ষার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধ মাকসুদুর রহমান তালুকদার। চেয়ারম্যানের সামনেই ওই বৃদ্ধকে হুমকি দেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। মেয়রের বিপক্ষে অবস্থায় নেওয়ায় ওই বৃদ্ধের এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেফতারও করে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাসির নামের একজনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের তথ্যমতে, শ্মশানে দাহ করার স্লাবের নিচে বৃদ্ধের মরদেহ পড়েছিল। দাহ করার জন্য রাখা কাঠ শরীরের ওপর ছিটানো ছিলো। পরে কয়েকজন তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার পর স্থানীয়রা তার মরদেহ দাফন করে। পরিবারের অনেক সদস্য তখন অনুপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, শুরুতে কেউ অভিযোগ দেয়নি। দাফন করার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে এসেছিল।
পৌর মেয়র মোঃ  মহিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।